ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার সিনওয়ারকে হত্যার দাবি করে। পশ্চিমারা সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করলেও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি।
দৃঢ় চাহনী ও কঠিন হৃদয়ের মানুষ হিসেবে পরিচিত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার।
গত বছরের ৭ অক্টোবর তিনিই ছিলেন ইসরায়েলে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। এরপর থেকে তার সন্ধান পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে ইসরায়েল।
ইয়াহিয়া সিনাওয়ার তরুণ বয়স থেকেই সম্পৃক্ত হন ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে। নেতৃত্ব দেন ইহুদিবিরোধী বিভিন্ন অভিযানে। ইসরায়েলি সেনাদের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে ২৩ বছরেরও বেশি সময় কারাবাস করেন তিনি।
বন্দী অবস্থা থেকেই শিখেন হিব্রু ভাষা। ভালোভাবে রপ্ত করেন ইসরায়েলের কূটকৌশল ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতি। পরে এক বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় ২০১১ সালে মুক্তি পান। তার বিনিময়ে বন্দী ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতকে ছেড়ে দেয় হামাস।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দ্রুতই সিনওয়ার হামাসের শীর্ষ পদে ফেরত আসেন। ২০১২ সালে সংগঠনটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। দায়িত্ব পান সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের সঙ্গে রাজনৈতিক শাখার কার্যক্রম সমন্বয়ের।
সিনাওয়ারের নেতৃত্বে হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সামরিক অভিযান পরিচালনা করে। যার মধ্যে ২০১৪ সালের গাজা যুদ্ধ অন্যতম। ওই যুদ্ধের সময় তার সামরিক কৌশল এবং পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করে।
১৯৬২ সালে গাজার খান ইউনিসে জন্ম সিনাওয়ারের। মুসলিম পরিবারে বেড়ে ওঠা এই নেতার শিক্ষাজীবন গাজাতেই। ১৯৮০–এর দশকের শেষ দিকে যোগ দেন হামাসে।
আল/ দীপ্ত সংবাদ