ছাত্র–জনতার আন্দোলনে গুলি চালানো ১২৬ জন অস্ত্রধারীকে শনাক্ত করেছে আইনশৃখলা বাহিনী। তবে গত আড়াইমাসে গ্রেপ্তার হয়েছে মাত্র ১৯ জন। আন্দোলনের সময় লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। বিশ্লেষকেরা বলছেন, অবৈধ অস্ত্র ও অস্ত্রধারীরা দেশ ও জনগণের জন্য চরম হুমকি।
ছাত্র–জনতার দিকে গুলি ছোঁড়া এক যুবক ঢাকা উত্তর সিটির ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ। তিনি সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাতিজা। গত ১৭ থেকে ২১ জুলাই এবং ৪ আগস্ট মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বছিলা পর্যন্ত সড়কে অবস্থানকারী ছাত্র–জনতার ওপর অনেক হামলা হয়েছে। যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম সাবেক দুই কাউন্সিলর আসিফ ও রাজীব। আরেকজন বিপ্লব। এখন পর্যন্ত এদের কাউকেই গ্রেপ্তার করা যায়নি।
গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকাসহ দেশের ১২টি জেলায় ছাত্র–জনতার ওপর গুলি চালানো ১২৬ জন অস্ত্রধারীকে শনাক্ত করেছে আইন–শৃংখলা বাহিনী। এরমধ্যে মাত্র ১৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। চট্টগ্রামে শনাক্ত হওয়া ১০ জনের মধ্যে তিনজন, ফেনীতে ৩৩ জনের মধ্যে একজন, কেরানীগঞ্জে ৪ জনের মধ্যে একজন এবং সিরাজগঞ্জে ২ জনের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিলেট ও হবিগঞ্জে ২৪ জনকে শনাক্ত করা হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা জানান, ছাত্র–জনতার আন্দোলনে হামলাকারী অস্ত্রধারীদের ধরতে পুলিশ সদস্যদের সক্রিয় করতে হবে।
আন্দোলন চলাকালে বিভিন্ন থানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়। যার কারণে ছিনতাই ও ডাকাতি বেড়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
পুলিশ বলছে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। চিহ্নিত অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা অন্তত ৫০ হাজার। গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে ৩১৮টি।
আল/ দীপ্ত সংবাদ