ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের লেমুয়া–ছনুয়া রাস্তার মাথা নামক এলাকায় ছাত্রদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি ও তার কর্মীরা ছনুয়াতে দলীয় একটি প্রোগ্রামে যায়।
এসময় সাবেক ছাত্রদল নেতা আহসান সুমন ও ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা নিজাম গ্রুপের সদস্যরা নজরুল ইসলাম ও তার সাথে থাকা কর্মীদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তা তাদেরকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
হামলার আহতরা হলেন– ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম, ছনুয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আকতার হোসেন শিমুল, কালিদহ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল আলম সৌরভ, গণমাধ্যম কর্মী জাহিদুল আলম রাজন ও এম কাওসার সহ ১০ জন।
ঘটনার প্রতিবাদে জেলা ছাত্রদল তাৎক্ষণিকভাবে ফেনী প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন– জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এম. সালাহ উদ্দিন মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন।
এসময় বক্তারা হামলাকারী আহসান সুমনকে চিহ্নিত মাদক কারবারি আখ্যায়িত করে অনতিবিলম্বে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আহসান সুমনকে বার বার মুঠোফোনে কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জানতে চাইলে ফেনী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন বলেন, ছনুয়ার ওই ওয়ার্ড শনিবার রাতে একটা প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে আহসান সুমনের সাথে ভুল বোঝাবুঝি হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজকে দুপুরে সুমন সমর্থিতরা আবার কয়েকজন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে আহতদের পরিবার।
জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মামুন/ আল/ দীপ্ত সংবাদ