বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হিরো আলম ওই দিন আদালতে একটি মামলা দায়ের করতে যান। মামলায় ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ২০২৩ সালের উপ–নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বগুড়া–৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন এবং সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ৩৯ জনকে আসামি করা হয়।
মামলা দায়েরের পর আদালত চত্বরে হিরো আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তুতি নেন। এ সময় কয়েকজন যুবক হিরো আলমকে তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে প্রথমে কান ধরে ওঠবস করাতে বাধ্য করেন এবং পরে তাকে সড়কে নিয়ে গিয়ে বেধরক মারধর করেন।
হামলার পর হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক স্বৈরাচারের পতনের পর আরেক দল নিজেদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে। আমি কখনও তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করিনি। প্রকাশ্যে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হলো।‘
তিনি জানান, হামলাকারীদের ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা বলেন, ‘হিরো আলমের ওপর হামলা যারা করেছে তারা দুর্বৃত্ত এবং এর সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই।
অপরদিকে, বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছেদ বলেন, ‘বিএনপির কোনো সদস্য হামলা চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত নয় এবং এটি বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা হতে পারে।‘
বগুড়া সদর থানার উপ–পরিদর্শক রহিম রানা বলেন, ‘হামলার বিষয়টি শুনেছি, কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি।‘