ভারি বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীতে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে নেমেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারে কাজ করছে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড।
মুহুরী–সিলোনিয়া ও কহুয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার মানুষদের উদ্ধারে প্রস্তুত রাখা হয়েছে হেলিকপ্টার।
জেলা প্রশাসন জানায়, বন্যা কবলিতদের উদ্ধারে ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর ছয়টি বোট ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। আরও ছয়টি বোট এবং কোস্টগার্ড বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। উদ্ধারের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর হেলিকপ্টার প্রস্তুত আছে কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে তারা অভিযান শুরু করতে পারছে না। এখন পর্যন্ত বন্যায় একজন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসন।
স্থানীয়রা বলছেন, বৃষ্টি বন্ধ না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। এটি স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা। এমন বন্যা তারা বিগত ৪০ বছরেও দেখেননি। ঘরের ভেতর পানি প্রবেশ করায় অনেকে চৌকি উঁচু করে কোনো রকমে প্রাণ বাঁচান, কেউ ঘরের ছাদে কিংবা টিনের ওপর উঠে রাত কাটিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, আমাদের উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। বন্যাদুর্গত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। পানি এখনো বাড়ছে।
এ ব্যাপারে পরশুরাম উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, উপজেলার চিথলিয়া, সলিয়া ও অলকা এলাকায় অনেক মানুষ আটকা পড়েছে। রাত থেকে ফায়ার সার্ভিস ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্ধার কাজ চলছে। স্থানীয় প্রশাসন, শিক্ষার্থী, সেনাবাহিনী, বিজিবি, বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, সাধারণ জনগণ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পুলিশসহ সকলে মিলে উদ্ধার কাজ চলছে।
ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম কমল জানান, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ৪০০ পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। এখনও পানি বাড়ছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর আসছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ–বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতো পানি আগে কখনো দেখা যায়নি। পরিস্থিতি খুবই খারাপ।
আবদুল্লাহ/ সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ