কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে ফেনী পৌর শহরের বেশিরভাগ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে এসব সড়কে বসবাসকারী বাসিন্দা ও পথচারীরা পড়ছে চরম ভোগান্তিতে।
শহর ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিনের মূষলধারে টানা বৃষ্টি হওয়ায় ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক, মিজান রোড, একাডেমি রোড, শাহীন একাডেমি, রামপুর, তাকিয়া রোড, আবু বক্কর সড়ক, শাহীন একাডেমি রোড, ফেনী বড় বাজারে বিভিন্ন গলি, বারাহীপুর এলাকায় বিভিন্ন সড়ক, মহিপাল চৌধুরী বাড়ী সড়ক, পাঠান বাড়ী রোড সহ বিভিন্ন সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এসকল সড়কে চলাচলরত অনেক সিএনজি অটোরিকশার সাইলেন্সারে পানি প্রবেশ করে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেছে। এসব এলাকার পথচারী ও বাসিন্দারা রিক্সায় অতিকষ্টে এদিক–ওদিক যাতায়াত করতে হচ্ছে।
সিএনজি অটোরিক্সা চালক শফিউল আলম বলেন, রাস্তায় যাত্রী পারাপার করতে গিয়ে সিএনজিতে পানি প্রবেশ করে গাড়িটি বন্ধ হয়ে যায়। ধাক্কাতে ধাক্কাতে অনেক কষ্টে গাড়িটিকে গ্যারেজে নিতে হয়েছে। এভাবে অনেক চালক সমস্যায় পড়েছে।
এদিকে অতিবৃষ্টিতেও ফেনী পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা পানি অপসারণের কাজ অব্যাহত রেখেছে।
শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন লিটন জানান, টানা বৃষ্টি হলে শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক সহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পানির নিছে তলিয়ে যায়। এছাড়াও মরিচ পট্টি, মুডি পট্রি, সওদাগর পট্টি, খাজা আহমেদ সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বসে থাকে পানি নেমে গেলে দোকান খুলে। বর্ষা এলে মাঝে মাঝে এ দুর্ভোগ লেগে থাকে।
মো. ইলিয়াস মিয়া জানান, প্রতি বছর বৃষ্টিতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে স্টার লাইন কাউন্টার পর্যন্ত সড়কটি পানিতে তলিয়ে যায়। এ স্থানটিতে বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এসকল হাসপাতালে রোগী আনা–নেয়ার ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
জানতে চাইলে ফেনী পৌরসভার কনজার্ভেটিভ অফিসার সরোয়ার আলম বলেন, ৩০ জন পরিচ্ছন্নকর্মী শহরের বিভিন্ন খাল পরিস্কারের কাজ করছে। ৩০ জন শহরের বিভিন্ন ড্রেন পরিস্কারে কাজ করছে। পানি নেমে যাওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী পৌরসভার সচিব সৈয়দ মো. আবুজর গিফরী বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নিরলস কাজ করা যাচ্ছে। পৌরসভার নাগরিকরা পলিথিন থেকে শুরু করে সব ময়লা ড্রেনে ফেলার কারণে পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে পানি নামতে সময় লাগছে। বৃষ্টি কমলে অল্প সময়ে পানি নেমে যাবে।
আবদুল্লাহ/ সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ