ফেনী জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার বলেছেন, মাস্টার পাড়ার হিন্দুদের জায়গা দখল করে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাগান বাড়ি তৈরি করেছে।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় হিন্দুরা যে অবদান রেখেছে এই জাতি কোনদিন ভুলবে না। গুজবে কান দিবেন না হিন্দুরা এই দেশে জন্মেছে মরবেও এই দেশে।
রবিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে শহরের জয়কালী মন্দির প্রাঙ্গণে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জেলা হিন্দু–বৌদ্ধ–খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফেনী জেলা হিন্দু–বৌদ্ধ–খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শুকদেব নাথ তপনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক লিটন সাহা ও সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তপন করের যৌথ সঞ্চালনায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক এম.এ.খালেক, এয়াকুব নবী, আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফজলুর রহমান বকুল, পৌর বিএনপির আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন বাবুল, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমান উদ্দিন কায়সার সাব্বির, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ–সভাপতি হীরা লাল চক্রবর্তী, জয়কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী তপন দাস, জেলা বিএনপির সদস্য এডভোকেট পার্থ পাল চৌধুরী, জেলা হিন্দু–বৌদ্ধ–খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সিনিয়র সহ–সভাপতি এডভোকেট সমীর কর ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এম সালাহ উদ্দিন মামুন।
হিন্দু–বৌদ্ধ–খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শুকদেব নাথ তপন বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা সরকারের কাছে সাতটি দাবি নিয়ে অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমাদের যৌক্তিক দাবিসমূহ সরকার পূরণ করে নাই। বিগত দিনে আওয়ামী লীগ সরকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলা–নির্যাতনের কোন বিচার করে নাই। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি করেছিলাম ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আদলে আলাদাভাবে হিন্দু–বৌদ্ধ–খ্রিস্টান ফাউন্ডেশন ঘোষণা করার জন্য।
সরকার যদি ফাউন্ডেশন ঘোষণা করতো তাহলে আমাদেরকে খয়রাতি টাকা দিয়ে পূজা উদযাপন করতে হতো না। সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাশ করলে সরকারের কোন টাকা খরচ হতো না। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমরা নিগৃহীত হয়েছি। ছাত্র আন্দোলনের সময় জেলা বিএনপি ও জেলা জামায়াতে ইসলামী অতন্দ্রী প্রহরীর মতো আমাদের মন্দির পাহারা দিয়েছেন ফলে ফেনীতে কোনো মন্দির ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি।
মামুন/ আল/ দীপ্ত সংবাদ