এক বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। এরইমধ্যে দেশে দেশে দেখা দিচ্ছে মূদ্রাস্ফীতি, কমছে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ। আগামীতে এই সংকট আরও বাড়বে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে, অর্থনৈতিক সংকটে পযুর্দস্ত গোটা বিশ্ব। দেখা দিয়েছে জ্বালানি ও খাদ্য সংকট। যা আরও তীব্র হওয়ার শঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা ‘আইইএ’।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যয় সংকোচন নীতির পথে এগুচ্ছে বিভিন্ন দেশ। আমদানি পণ্যেও আরোপ করা হয়েছে নানা বিধিনিষেধ। দেশের মানুষের কথা মাথায় রেখে রপ্তানি বন্ধেরও পদক্ষেপ নিয়েছে কিছু দেশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, গ্যাসসহ দাম বেড়েছে নিত্যপণ্যের। সেই সঙ্গে পরিবহণ ব্যবস্থায় সমস্যা তৈরি হয়েছে, ভেঙে পড়েছে সরবরাহ ব্যবস্থা।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা দিয়েছে মন্দাভাব। বাদ যায়নি ইউরোপও। ধুঁকছে ব্রিটেনের অর্থনীতি। খারাপ অবস্থা গ্রিস, স্পেন, ফ্রান্সের মত দেশেও। বিশেষ করে এশিয়ায় জ্বালানির দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক গতিতে। ফলে ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎবিভ্রাট।
বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার কমে দাঁড়াতে পারে শতকরা ১ দশমিক ৭ ভাগে। এই দুর্দশার জন্য উচ্চ মূল্যস্ফীতিকে দায়ী করছে বিশেষজ্ঞরা।
আল/দীপ্ত