গুলশান–২ নম্বরের বহুতল ভবনটি অগ্নিনিরাপত্তা সনদ ছাড়াই ব্যবহার করতেন সেখানকার বাসিন্দারা। ফলে অভিজাত এ ভবনের অগ্নিদুর্বলতার বিষয়গুলো আড়ালেই থেকে যায়। পাশাপাশি ভবনটিতে নিয়মিত অগ্নিনিরাপত্তার মহড়াও করা হয়নি। এ দুই কারণেই মূলত বহুতল ভবনটিতে হতাহতের ঘটনা বেশি ঘটেছে বলে মনে করছে ফায়ার সার্ভিস।
গতকাল (২০ ফেব্রুয়ারি) গুলশানের বহুতল ভবনটি পরিদর্শন শেষে এসব তথ্য জানায় এ দুর্ঘটনায় গঠন করা তদন্ত কমিটি।
গুলশানের ওই ভবনে রবিবার সন্ধ্যায় আগুন লাগার পর ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিস। আগুন থেকে বাঁচতে লাফিয়ে পড়ে দুজনের মৃত্যু ঘটে। আবাসিক ওই ভবনের নিচতলা বাদে ওপরের ১২ তলায় ছয়টি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে কয়েকটি পরিবারের বসবাস। এ অগ্নিকাণ্ড তদন্তে ফায়ার সার্ভিস পাঁচ সদস্যের যে তদন্ত কমিটি করেছে, তার প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী। বিকালে তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিয়ে ভবনটি ঘুরে দেখেন তিনি।
এ সময় ভবনের নিরাপত্তা দুর্বলতার বিষয়গুলোও তুলে ধরে লে. কর্নেল তাজুল বলেন, ভবনটি আপাতদৃষ্টিতে খুব অত্যাধুনিক হলেও এর নিরাপত্তার ঘাটতি ছিল। ভবনটির কোনো ফায়ার সেফটি লাইসেন্স ছিল না। তারা ফায়ার সার্ভিসের কাছ থেকে একটা এনওসি নিয়েছিল। এরপর তাদের যথাযথ পরিদর্শন সাপেক্ষে ফায়ার সেফটি লাইসেন্স নেয়ার কথা ছিল যা তারা নেননি। এ লাইসেন্স নিতে গেলে ভবনের এসব দুর্বলতা বেরিয়ে আসত। এক্ষেত্রে ভবনের অগ্নিদুর্বলতা অনেক কম থাকত।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ