কোটাবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের যানবাহন ভাঙচুর, পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এবং মারধরের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি হিসেবে ‘অজ্ঞাতপরিচয় অনেক শিক্ষার্থী’ উল্লেখ করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের পরিবহন বিভাগের গাড়িচালক খলিলুর রহমান বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার পুলিশের বাধা ভেঙে অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিলসহ তারা শাহবাগে যান। সেখানে পুলিশের বাধা ডিঙিয়ে এগিয়ে যান তারা। এসময় পুলিশের আর্মার্ড পারসোনেল ক্যারিয়ায়ের (এপিসি) ওপর উঠে পড়েন অনেকে। সেখানে দাাঁড়িয়ে স্লোগান দেন তারা।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার কোটা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচি ছিলো। সেই অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অজ্ঞাতনামা ছাত্ররা জড়ো হয়ে বিভিন্ন হলের সামনে দিয়ে প্রদক্ষিণ করে বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে স্লোগান দিতে দিতে শাহবাগ মোড়ের দিকে অগ্রসর হতে থাকে এবং একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড় অতিক্রম করে বেআইনি জনতায় আবদ্ধ হয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করে শাহবাগ মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে ও পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি করে।
কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদেরকে এলোপাথারি মারপিট করে সাধারণ জখম করে। তারপর তারা ইন্টারকন্টিনেন্টালের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে সিনিয়র স্যাররা ছাত্রদের বুঝিয়ে শুনিয়ে পুনরায় শাহবাগ মোড়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসার সময় বিএসএমএমইউ এর পাশে নিরাপদ স্থানে রাখা এপিসি–২৫ ও ওয়াটার ক্যাননের চারদিকে ঘোরাও করে অনেক সংখ্যক আন্দোলনকারীরা উঠে উদ্দাম নৃত্য শুরু করে এবং ওয়াটার ক্যানন ড্রাইভার কে গাড়ি থেকে জোর পূর্বক বের করার চেষ্টা ও গতিরোধ করে।
আল / দীপ্ত সংবাদ