বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ভিএআর ফুটবল ধ্বংসের কারণ: কুমান

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
6 minutes read

ভিএআর প্রযুক্তির ব্যবহার যখন থেকে শুরু, তখন থেকে আজ অবধি নানা কারণে বিতর্কিত রয়েছে বিষয়টি৷ প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েও প্রায়ই হচ্ছে প্রশ্নবিদ্ধ সব ভুল।

ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের সেমিফাইনালে হ্যারি কেইনের পেনাল্টি নিয়েই যেমন উঠছে বিস্তর অভিযোগ। আসর থেকে বিদায় নিয়ে ক্ষিপ্ত ডাচ কোচ রোনাল্ড কুমান তো বলেই দিয়েছেন, ফুটবল খেলাটা শেষ করে দিচ্ছে ভিএআর।

২০১৮ সালের বিশ্বকাপ থেকেই ভিএআর তথা ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিপ্রযুক্তির চালু করে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাফিফা। যোগ হওয়া নতুন এই প্রযুক্তি প্রশংসা যেমন কুড়িয়েছে, তেমনি নানা সময় পড়ছে সমালোচনার মুখে।

বাইরের আলোচনা বাদ দিন, ভিএআর সম্পর্কে ঠিকঠাক না জেনে খেলা দেখতে বসলে আপনিও পড়তে পারেন সমস্যার মুখে।

প্রিয় দল গোল করেছে বলে উল্লাসে মাতলেন, কিন্তু কিছু সময় পর বুঝতে পারলেন ভিএআরএ বাতিল হলো গোলটি। সমর্থন করা দলের বিপক্ষে পেনাল্টি হয়নি ভেবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন, কিন্তু পরক্ষণেই ভিএআর জানালো ফাউলটি পেনাল্টির মতো অপরাধ। তাই ফুটবল উন্মাদনার মাঝে ভিএআর সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি।

ইউরোর দ্বিতীয় সেমিফাইনালের শুরুতেই জাভি সিমন্সের গোলে লিড নেয় নেদারল্যান্ডস। তবে কিছুক্ষণ বাদেই পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। বক্সের ভেতর থেকে কেইনের নেওয়া শট ব্লক করতে গিয়ে তার পায়ে কিক করেন ডেনজেল ডামফ্রিস। প্রথমে পেনাল্টি না দিলেও ভিএআর চেকের পর রেফারি সিদ্ধান্ত বদলান। পেনাল্টি থেকে কেইনের লক্ষ্যভেদের পর অন্তিম সময়ের গোলে ম্যাচ জেতে ইংলিশরা।

ম্যাচ শেষে সেই পেনাল্টি নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ডাচ কোচ রোনাল্ড কুমান। তিনি বলেন– “আমার মতে এটি কোনোভাবেই পেনাল্টি হতে পারে না। ডামফ্রিস বলকে লাথি মেরেছে এবং কেইনের বুটও স্পর্শ করেছে। আমি মনে করি এই ভিএআরের কারণে আমরা সঠিকভাবে ফুটবলই খেলতে পারি না। এটা সত্যিই ফুটবলকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।

সাবেক ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডার এবং আইটিভিতে এক্সপার্ট হিসেবে কাজ করা গ্যারি নেভিল বলেন– “একজন ডিফেন্ডার হিসেবে, আমি মনে করি এটি একটি লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত। কোনোভাবেই এটা পেনাল্টি হতে পারে না। ডামফ্রিস স্বাভাবিকভাবেইই শটটা ব্লক করতে গিয়েছিল। আমার কাছে এটা পেনাল্টি নয়।

নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক বলেন, পেনাল্টির সিদ্ধান্তটিই ছিলে খেলার টার্নিং পয়েন্ট। ইংল্যান্ড গোল পেয়ে কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়। আমি মনে করি অনেক সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে যায় নি, কিন্তু আমি রেফারির ব্যাপারে কথা বলতে চাই না।

আলোচনা যাইহোক না কেন, ইউরো কিংবা কোপা আমেরিকা দুই টুর্নামেন্টের ফাইনালের মঞ্চে দুদলের শিরোপা ভাগ্য নির্ধারনে ভিএআর, কোনো খলনায়কে ভুমিকা পালন করে কিনাসেটিও নজড়ে থাকবে।

 

মোহাম্মদ হাসিব/এসএ/দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More