নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় আলোচিত টিকটকার জুনিয়র সাকিব খানের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেছেন তার স্ত্রী শিখা(২৬)।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোরে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত স্ত্রী শিখা খানকে আটক করে বন্দর থানায় নেওয়া হয়েছে। আটক শিখা কান্দিরপাড় এলাকার জুম্মন খানের মেয়ে।
সাকিব খানের প্রকৃত নাম সাকিল বেপারী। টিকটকার হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার জন্য তিনি সাকিব খান নামে আইডি ব্যবহার করেন। সাকিব মাদারীপুর জেলার বাজিতপুর এলাকার মিন্টু বেপারীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, জুনিয়র সাকিব ও তার স্ত্রী শিখা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবে ভিডিও বানায়। তারা দুজনই মাদকাশক্ত। প্রায় সময় তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হতো। এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার তাদের ঝগড়া মীমাংসা করে দিলেও তারা সংশোধন হননি। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোরে ঘরের ভেতর ঘুমন্ত সাকিবের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন তার স্ত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মদনগঞ্জ ফাঁড়ির উপ–পরিদর্শক রাজু আহম্মেদ।
তিনি জানান, জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে টিকটকার জুনিয়র সাকিবকে রক্তাক্ত ও গুরুতর অবস্থায় বিছানার ওপর পাওয়া যায়। তার গোপনাঙ্গ কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। কেটে ফেলা গোপনাঙ্গের অংশ শিখার কাছ থেকে উদ্ধার করে তাকে আমরা আটক করি। আহত অবস্থায় সাকিবকে উদ্ধার করে স্থানীয় বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে সাকিবকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
উপ–পরিদর্শক আরও জানান, আহত সাকিবের তথ্য মতে, শিখা তাকে মধ্যরাতে বিয়ারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে খাইয়ে দেয়। রে সাকিব ঘুমিয়ে পড়লে ভোরে তার গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন শিখা। তাদের মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে তদন্ত শেষে নিশ্চিত করে বলা যাবে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গৌতম/এসএ/দীপ্ত সংবাদ