ইউরোর শেষ ষোলোতে ‘অঘোষিত ফাইনাল‘ ম্যাচ দেখলো ফুটবল বিশ্ব। শ্বাসরুদ্ধকর ওই ম্যাচে ৯০ মিনিট পর্যন্ত ১–১ গোলে ড্র করে স্পেন ও জার্মানি। এরপর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেই শেষ পর্যন্ত ভাগ্য নির্ধারণ হয় স্পেনের। ম্যাচের ১২০ মিনিটে বক্সের মধ্যে বলটা ভাসিয়ে দিয়েছিলেন অলমো। সেই ভাসানো বলে নিখুঁত একটি হেড করেন মিকেল মেরিনো। এতেই শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় স্বাগতিক জার্মানির।
তবে ফুটবল ফ্যানদের একাংশের মতামত জার্মানি নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে জার্মানরা তাদের ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘোচাতে পারেনি। এবারও বড় টুর্নামেন্টে সব সময়ের মতো অতীতের সেই তিক্ত স্বাদ গ্রহণ করলো ডাই ম্যানশ্যাফটরা।
তবে জার্মান ও স্পেনের কোয়ার্টার ফাইনালে সব ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রেফারির কার্ড বর্ষণ। ওই ম্যাচে রেফারি লাল কার্ড ও হলুদ কার্ড মিলিয়ে সর্বমোট ১৬টি কার্ড দিয়েছে। এতে করেই পর্রবতী ম্যাচে কপাল পুড়লো স্পেনের।
সেমিতে ফ্রান্সের বিপক্ষে স্পেনের চার গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় খেলতে পারবে না। এর মধ্যে স্পেনের ক্যাপ্টেন মোরাতা পর পর দুই ম্যাচে হলুদ কার্ডের জন্য খেলতে পারবেন না। অন্যদিকে দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রিয়াল মাদ্রিদের তারকা দানি কারভাহাল লাল কার্ডের জন্য মাঠের বাইরে থাকবে। তাছাড়া দলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় নরমান্ডও এই ম্যাচ খেলতে পারবে না। দলের মাঝ মাঠের কাণ্ডারি পেদ্রি ইনজুরিতে পড়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন। সেমিফাইনালে দল সাজানো নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছেন স্পানিশ কোচ লুইস দি লা ফুন্তে।
ইমরান হাসান/এজে/দীপ্ত সংবাদ