দেশে ক্রমেই বাড়ছে অনলাইন জুয়ার প্রতি আসক্তি। খেলাধুলায় মাঠে খেলে দুই দল। আর তৃতীয় পক্ষ খেলে মাঠের বাইরে থেকে।
ক্রিকেট কিংবা ফুটবল, শহর থেকে গ্রাম, খেলা নিয়ে এমন অনলাইন জুয়াতে আসক্ত লাখো মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোবাইলে বিনা বাধায় খেলতে পারা ও নজরদারির অভাবে জুয়া প্রতিষ্ঠানগুলো সহজেই প্রলুব্ধ করতে পারছে মানুষকে। আর ই–মানি ট্রান্সফারের সুবিধায় সহজেই জুয়ার অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে। এজন্য আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা মানছে পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ।
জুয়া সাম্প্রতিক সময়ে ডিজিটাল মাধ্যমে নতুন রূপ পেয়েছে। অনলাইনে জুয়ার অ্যাপসের সহজলভ্যতা রয়েছে। যে কেউ চাইলে সহজেই সংশ্লিষ্ট জুয়ার অ্যাপস ডাউনলোড করে ঘরে বসেই জুয়া খেলতে পারেন।
সম্প্রতি খোদ তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে এমন কার্মকাণ্ডে জড়িত অর্ধ কোটি মানুষ।
প্রতিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ি, জুয়াতে আসক্ত স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থী সহ নানা বয়সী মানুষ। চাকুরিজীবী থেকে অবসরপ্রাপ্তরাও আছেন এই তালিকায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনলাইনে এসব জুয়া খেলার প্রক্রিয়া বেশ সহজ। এজন্য প্রয়োজন একটি মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট। আর মোবাইল ব্যাংকিং এর কারণে মুহূর্তেই হয় জুয়ার টাকা লেনদেন।
তারা বলেন, অনলাইন গ্যাম্বলিং এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত পাচার হয় টাকা। নিয়ন্ত্রণে দরকার সব সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ ও জনবল বৃদ্ধি।
অনলাইন জুয়া বন্ধে নিয়ন্ত্রনকারী সংস্থার সদস্যদের উন্নত প্রশিক্ষণ দরকার বলেও জানান বিশেষজ্ঞরা।
আল/ দীপ্ত সংবাদ