রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় নৃশংস জঙ্গি হামলার ৮ বছর পূর্তি আজ। নিম্ন আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৭ আসামিকে হাইকোর্ট গত বছর আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেয়। অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রায়ের কপি পাওয়ার পর আপিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
২০১৬ সালের পয়লা জুলাই রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় রাতে নৃশংস হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে ইতালির নয় নাগরিক, জাপানের সাত, ভারতের এক ও তিন বাংলাদেশি নিহত হন।
এ ঘটনায় মামলা হলে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালত রায় দেয়। রায়ে সাত জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয় ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। পরে ২০১৯ সালে মামলার ডেথরেফারেন্স নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টে নথি পাঠানো হয়। আসামিরা জেল আপিলও করেন। পরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলার শুনানি শেষে গত বছরের ৩০ অক্টোবর রায় দেয় হাইকোর্ট।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি– রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ কারাগারে রয়েছেন।
তবে বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চের দেয়া ওই রায় এখনো প্রকাশিত হয়নি।
তবে আসামিদের অনুকম্পা দেখানোর সুযোগ নেই বলেও জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সর্বোচ্চ সাজাই তাদের প্রাপ্য।
হাইকোর্টের রায় প্রকাশিত হওয়ার পর আসামিরা চাইলে আপিল করতে পারবে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে।