নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়া (৬৭) হত্যাকান্ডের ঘটনায় বাপ্পী ও জামাল নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আজম।
এর আগে শনিবার দুপুরে ফতুুল্লার কাশীপুরের ভোলাইল থেকে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় এই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি নূরে আজম জানান, আওয়ামীলীগ নেতা সুরুজ মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় শুক্রবার (২৮ জুন) দিবাগত রাতে তার ছেলে বাদী হয় থানায় মামলা করেন। মামলায় সন্ত্রাসী সালু, হীরা, তমাল, শফর আলিসহ প্রায় ২১ জনের নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাত নামা আরো ১০–১২ জনকে আসামী করা হয়। পুলিশ এজাহার নামীয় দুই আসামী বাপ্পি ও জামাল কে গ্রেফতার করেছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযুক্ত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবেনা।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ফতুল্লার কাশিপুর ভোলাইল শান্তিনগর এলাকায় ইট, বালু, রড ও সিমেন্ট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুরুজ মিয়ার
উপর হামলা চালায় স্থানীয় সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন সালু, হীরা বাহিনীর ৩০/৪০ জন। এসময় দেশীয় অস্ত্র রামদা দিয়ে সুরুজ মিয়াকে কুপিয়ে রক্তাত্ব জখম করে। তাকে বাঁচাতে তার ছেলেরা সহ তাদের বন্ধুরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও আহত করে সন্ত্রাসীরা। সুরুজ মিয়া ও তার দুই ছেলে মো. জনি আহমেদ (৩৫) ও রাজু আহমেদ (৪০) এবং অটোরিকশা চালক মো. রাসেল (৩২) ও শাকিল (৩০) আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুরুজ মিয়ার মৃত্যু হয়।
গৌতম / আল/ দীপ্ত সংবাদ