চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে রাত্রিযাপনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গোলাম সাকলায়েনকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচরণের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ১৩ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের শৃঙ্খলা–২ শাখার উপ–সচিব রোকেয়া পারভীন জুঁই স্বাক্ষরিত স্মারকে বিভাগীয় মামলায় তাকে চাকরি থেকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’ গুরুদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিবকে অনুরোধ করা হয়েছে।
শৃঙ্খলা শাখার ওই স্মারকে বলা হয়েছে, ডিবি গুলশান বিভাগের এডিসি থাকাকালে নায়িকা পরীমণির সঙ্গে ঘটনাক্রমে দেখা এবং যোগাযোগ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি নায়িকা পরীমণির বাসায় নিয়মিত রাত্রিযাপন করতে শুরু করেন। পুলিশ অধিদপ্তরের এলআইসি শাখা থেকে দেওয়া তার ফোনের সিডিআর বিশ্লেষণ অনুযায়ী ২০২১ সালের ৪ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন সময়ে (দিনে ও রাতে) নায়িকা পরীমণির বাসায় অবস্থান করেছেন।
২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর সিআইডির স্মারক নং–আইটি–ফরেনসিক/১৫৭৩ রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১ আগস্ট ২০২১ সকাল ৬টা থেকে ২ আগস্ট রাত ৩টা পর্যন্ত রাজারবাগ মধুমতি পুলিশ অফিসার্স কোয়ার্টার্সে নায়িকা পরীমণির যাতায়াতের ধারণকৃত সিসিটিভি ফুটেজের ফরেনসিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে ও সাক্ষীদের জবানবন্দি অনুযায়ী প্রতীয়মান হয় যে, গত ১ আগস্ট, ২০২১ তারিখে তার পূর্ব পরিকল্পনা ও সম্পূর্ণ জ্ঞাতসারে তার স্ত্রী না থাকা অবস্থায় নায়িকা পরীমণি তার রাজারবাগে সরকারি বাসায় যায় এবং প্রায় ১৭ ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করে, পরদিন ২ আগস্ট রাত ১টা ৩০ মিনিটে বাসা ত্যাগ করেন।
তার ও নায়িকা পরীমণির সম্পর্কের বিষয়টি বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায়, টেলিভিশনে ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং যার ফলে জনমনে এ বিষয়ে নানারূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও সমালোচনার জন্ম দেয়।
আল/ দীপ্ত সংবাদ