ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজকীয় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
শনিবার (২২ জুন) দিল্লির স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছান শেখ হাসিনা। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ সরকারের মন্ত্রীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এরপর প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয় রাজকীয় সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার। এরপর শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশটির মন্ত্রী ও পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত এ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের বৈঠকে নির্ধারণ হতে পারে ২০২২ সালের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বাস্তবতা এবং আগামী ৫ বছরের রূপরেখা। তবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে সফরে চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও এ বিষয়ে নিজেদের স্পষ্ট অবস্থান জানাতে পারে ভারত। আসতে পারে বড় ধরনের বিনিয়োগের খবরও।
হাসিনা–মোদির বৈঠকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভারসাম্যহীন বাণিজ্যিক সম্পর্কে কিছুটা স্থিতিশীলতার কৌশল বের হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট শতভাগ কার্যকরের সিদ্ধান্তও আসতে পারে।
এর আগে শুক্রবার (২১ জুন) নয়াদিল্লির তাজ হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের শিল্পপতিদের সংগঠন কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি (সিআইআই)। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে ভারতের শিল্পপতিদের আহ্বান জানান।
সন্ধ্যায় একই হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রাসহ দুদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলে এ বৈঠক।
বৈঠক শেষে তাজ প্যালেসেই সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। তিনি জানান, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই সফরের বহুমাত্রিক তাৎপর্য রয়েছে। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের বিশেষ আগ্রহ স্পষ্ট হচ্ছে আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটেও।