মৌলভীবাজারে বন্যায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বন্যা কবলিত এলাকার লোকজনের দুর্ভোগ কমছে না। বিশুদ্ধ পানিসহ পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে প্লাবিত মানুষের ভোগান্তি বেড়েই চলেছে।
বন্যার পানিতে রাস্তা-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। জেলার মনু ও ধলাই নদীর পানি কমলেও বাড়ছে জুড়ি ও কুশিয়ারা পানি।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেল ৩টায় মনু নদীর পানি শহরের চাঁদনীঘাট এলাকায় বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার, ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার ২৭৯ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে কুশিয়ারা নদী শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ও জুড়ী নদীর পানি বিপৎসীমার ২০৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বন্যায় জেলার ৭ উপজেলার ৪৭ ইউনিয়নের ৪৭৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ২০৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন ৬ হাজার ২৫৩ জন বন্যার্ত মানুষ। গবাদিপশুর সংখ্যা ২০০টি। মেডিকেল টিম রয়েছে ৭০টি। শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে ৪৬৫ প্যাকেট, রান্না করা খাবার ১২০০ প্যাকেট, জিআর চাল ৪২২ টন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ৬৫ হাজার পিস। বিশুদ্ধ পানি ২৪০টি ১০ লিটারের বোতল। বন্যায় এ পর্যন্ত মারা গেছে তিনজন।
মৌলভীবাজার সদরে দুজন ও বড়লেখা উপজেলায় একজন।