কোরবানি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দেয়া হয়। ঐতিহাসিক আত্মত্যাগের ঘটনায় কোরবানির বিধান এসেছে। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি দেবেন– কেউ উট, কেউ গরু আর কেউ ছাগল। অনেকে সামর্থ্যের অভাবে একা কোরবানি দিতে পারেন না; প্রয়োজন হয় শরিকে কোরবানি দেয়ার। আর শরিকে কোরবানি দিলে মানতে হয় বেশ কিছু নিয়ম।
পশুর গোশত খাওয়া কোনো মুমিন ব্যক্তির উদ্দেশ্য নয়। আল্লাহর কাছে কোরবানির পশুর রক্ত মাংস কিছুই পৌঁছায় না, তার কাছে মানুষের তাকওয়া ও খোদাভীতি পৌঁছায়। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে,
لَنۡ یَّنَالَ اللّٰهَ لُحُوۡمُهَا وَ لَا دِمَآؤُهَا وَ لٰکِنۡ یَّنَالُهُ التَّقۡوٰی مِنۡکُمۡ ؕ کَذٰلِکَ سَخَّرَهَا لَکُمۡ لِتُکَبِّرُوا اللّٰهَ عَلٰی مَا هَدٰىکُمۡ ؕ وَ بَشِّرِ الۡمُحۡسِنِیۡنَ
আল্লাহর কাছে পৌছায় না সেগুলোর গোশত এবং রক্ত, বরং তার কাছে পৌছায় তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি এদেরকে তোমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এজন্য যে, তিনি তোমাদেরকে হেদায়াত করেছেন; কাজেই আপনি সুসংবাদ দিন সৎকর্মপরায়ণদেরকে। (সূরা হজ, আয়াত : ৩৭)
অনেকের প্রশ্ন থাকে শরিকদের কেউ টাকা কম দিলে কোরবানি হবে?
এমন পরিস্থিতির ক্ষেত্রে কোরবানি বিশুদ্ধ হবে। গরু–মহিষে শরিকে কোরবানি দেওয়ার জন্য শর্ত হল, কারো অংশ এক সপ্তমাংশের কম না হওয়া। প্রশ্নোক্ত অবস্থায় যদি তার অংশের চেয়ে কম দেন কিন্তু অন্যরা তার অংশের বাকিটা দিয়ে দিবেন বলে উল্লেখ করেন। তাহলে একজনের অংশ এক সপ্তমাংশের কম হয় না। তাই কোরবানি হয়ে যাবে।
আল / দীপ্ত সংবাদ