দেশের ওপর যাতে কোনো কালো থাবা না পড়ে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মিত বীর নিবাসের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ দেশ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ।
অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন দিতে বীর নিবাস প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রায় ৪ হাজার ১২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ হাজার বীর নিবাস নির্মাণ চলমান রয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে চায় সরকার।
মুক্তিযোদ্ধারা মানবেতর জীবন যাপন করবেন না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে ভিক্ষা করবেন, রিকশা চালাবেন বা মানবেতর জীবন যাপন করবেন, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা যখন ক্ষমতায়, তখন তা হতে পারে না। সেজন্য তাদের ঘরবাড়ি নির্মাণ ও বিভিন্ন ভাতার ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। যোদ্ধারা যেন মাথা উঁচু করে বলতে পারেন হ্যাঁ, আমরা মুক্তিযোদ্ধা, ছেলেমেয়েরা বলতে পারেন আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান, অন্তত এই সম্মানটা দেওয়ার চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশি যারা আমাদের সাহায্য করেছেন, সহযোগিতা করেছেন, আমরা তাদেরও সম্মাননা দিয়েছি। কোনো দেশ স্বাধীনতার পর এভাবে সম্মান দেয় কি না, আওয়ামী লীগ কিন্তু তা দিয়েছে। স্বাধীনতা সম্মাননা, মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা, মৈত্রী সম্মাননা দিয়ে, যারা আমাদের বিদেশি বন্ধু, মিত্র শক্তি, তাদের আমরা সম্মাননা দিয়েছি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত, ভারতের অনেক সেনাসদস্য যুদ্ধ করে আত্মাহুতি দিয়েছেন, তাদের পরিবারকেও আমরা সম্মাননা দিয়েছি।
বিশ্বজুড়ে চলা অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব থেকে বাঁচতে সকলকে মিতব্যয়ী হতে বলেন, সরকার প্রধান। পরিস্থিতি সামাল দিতে উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দেন তিনি। পরে বীর নিবাস প্রকল্পের সুবিধাভোগী নড়াইলের মুক্তিযোদ্ধারা ধন্যবাদ জানান, প্রধানমন্ত্রীকে।