হিমালয়ের তিনটি পর্বতের চূড়া থেকে ১১ টন ময়লা–আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়েছে। এ সময় চার মরদেহ ও একটি কঙ্কালও উদ্ধার করা হয়েছে। নেপালের সেনাবাহিনী এসব তথ্য জানিয়েছে।
নেপালের সেনাবাহিনী বলেছে, হিমালয়ের এভারেস্ট ও লোৎস পর্বত থেকে এসব আবর্জনা এবং মরদেহ সরাতে তাদের ৫৫ দিন সময় লেগেছে। এভারেস্টে ৫০ টনের বেশি বর্জ্য এবং দুই শতাধিক মরদেহ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৯ সালে হিমালয়ে ময়লা–আবর্জনা পরিষ্কার অভিযানে নামে নেপালি সেনারা। অনেক বেশি পর্বতারোহী নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে এই অভিযান শুরু করেছিলেন তারা। এরপর পাঁচ দফা পরিষ্কার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এই সময় হিমালয়ের চূড়া থেকে ১১১ টন আবর্জনা, ১৪ জন মানুষের মরদেহ এবং কিছু কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে।
২০২৪ সালে হিমালয়ে আবর্জনা কমাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নেপালি কর্তৃপক্ষ। পর্বতারোহীরা যেন নিজেদের ময়লা আবর্জনা নিজেরা নিয়ে ফিরতে পারে সে জন্য তাদের গায়ে ট্র্যাকিং ডিভাইস পরিয়ে দেয়া হয়েছে।
নেপালের পর্বতারোহণের পর্যটন বিভাগের পরিচালক রাকেশ গুরুং বিবিসিকে বলেছেন, ভবিষ্যতে আবর্জনা তদারকির জন্য একটি মাউন্টেন রেঞ্জার দল তৈরি এবং এগুলো সংগ্রহে আরও অর্থ দেয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।