এবারের বিশ্ব ইজতেমার ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি ছিল বলে মনে করেন মুসল্লিরা। পর্যাপ্ত পানি না থাকায়, ওযু ও গোসলের সময় অসুবিধায় পড়েন তারা। অনেকে জায়গা পাননি নির্দিষ্ট খিত্তায়।
বিশ্ব ইজতেমা ঘিরে, অন্যান্যবারের মতো এবারও টঙ্গীর তুরাগতীরে ছিল মহাযজ্ঞ। ১৩ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকতা শুরুর দুই-তিন দিন আগেই জমায়েত হতে থাকেন দূর-দূরান্তের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। ময়দানের নির্দিষ্ট খিত্তায় অবস্থান নেন বিভিন্ন জেলার মানুষ। চলে রান্নাবান্নার আয়োজন। বেশির ভাগ উপকরণ অবশ্য সঙ্গে করেই নিয়ে আসেন তারা।
খিত্তায় স্থান সংকুলান না হওয়ায়, অনেককে থাকতে হয় নিজেদের মতো করে। তারপরও সন্তুষ্ট সবাই। পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা না থাকায় মুসল্লিদেরকে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিতের চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেন গাজীপুর সিটির ভারপ্রাপ্ত মেয়র। মুসলমানদের বিশাল এই সমাবেশ ঘিরে জমে ওঠে মৌসুমি অনেক ব্যবসা।
প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত শেষে, পর্যাপ্ত যানবাহনের অভাবে ঘরমুখী মানুষকে অসুবিধায় পড়তে হয়। ২০ জানুয়ারি শুরু হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব।