দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ ও শান্তি, আর বিশ্ব মানবতার সমৃদ্ধি কামনায় শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মোহাম্মদ যুবায়ের। এবার ইজতেমায় বিভিন্ন কারণে ৭ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে।
১৩ জানুয়ারি থেকে লোকে লোকারণ্য টঙ্গীর তুরাগতীর। বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত কেন্দ্র করে, রবিবার ফজরের নামাজের পর আরও বড় হতে থাকে জমায়েত। চারদিক থেকে ইজতেমার ময়দানমুখী মুসল্লির শ্রোত। যানবাহন না পেয়ে হেঁটেই আসতে হয় তাদেরকে।
ধর্মপ্রাণ এসব মুসলমানের অনেককেই অবস্থান নিতে হয় আশপাশের এলাকা ও রাস্তায়। সকাল ১০টার দিকে শুরু হয় আখেরি মোনাজাত। পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ যুবায়ের। এসময় আল্লাহর দরবারে মুসলিম উম্মাহ ও বিশ্ব মানবতার শান্তি ও কল্যাণে ফরিয়াদ করা হয়। কামনা করা হয় ইহকাল ও পরকালে মহান সৃষ্টিকর্তার রহমত। গুনাহ মাফের জন্য বিধাতার দরবারে কান্নাকাটি করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
সবার মাঝে ইজতেমার মুরুব্বিদের বয়ান ও ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন মুসল্লিরা। বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেওয়া লোকজনের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশাল বহন।
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। বাংলাদেশের মুসল্লিরা ছাড়াও এবার বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন ৬৫ দেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বিদেশি মেহমান। চারদিন বিরতি দিয়ে আগামী ২০ জানুয়ারি শুরু হয়ে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। শেষ হবে ২২ জানুয়ারি।