পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে বিপুল পরিমাণ জমি কেনা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমি কেনা হয়েছে গোপালগঞ্জ সদরে। এসব জমির প্রায় সবই ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের। মাথা গোঁজার শেষ সম্বলটুকু বেনজীরের রিসোর্টে বিক্রি করতে না চাওয়ায় অনেকের ছাড়তে হয়েছে দেশ।
শুধু কি তাই হিন্দু অধ্যুষিত এই এলাকায় বেনজীরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। সরকারি রাস্তা দখল করে ব্যবসা করেছে বেনজীর। চলাচল করতে দেওয়া হয়না গ্রামবাসীদের। প্রতিকার চাইলে রিসোর্টের নিরাপত্তা কর্মীদের দ্বারা নির্যাতন চালানো হতো এলাকাবাসীর উপর।
গোপালগঞ্জ সদরের সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীরটোল এলাকা। বিলবেষ্ঠিত গ্রামটিতে বসবাস করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৩০ টি পরিবার। নেই কোন মুসলিম বা অন্য ধর্মের মানুষ। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত নাম সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমেদ জেলার এই প্রত্যন্ত গ্রামের বিলের কয়েকশ বিঘাজুড়ে গড়ে তুলেছে সাভানা ইকো রিসোর্ট এন্ড ন্যাচারাল পার্ক ও পারিবারিক দুগ্ধ খামার । এই রিসোর্ট ও দুগ্ধ খামার গড়তে নিঃস্ব করেছে কয়েকটি পরিবারকে।
বেশ কয়েকবছর আগে এ বিলের উপর নজর পরে সাবেক পুলিশ প্রধান বেনজীরের। বেশ কয়েকদিন ধরে ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে যতদুর পছন্দ হয় বিলের জমি দখল করে নেয় বেনজীর। এরপর হিন্দুদের মামলা সহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে জোর করে নামমাত্র মুল্যে জমি কিনে নেয় তাদের জমি । জমি বিক্রি করতে না চাওয়ায় দেশ ছাড়তে হয় এক হিন্দু পরিবারের। জমি না কিনেও দখল করে রেখেছে কৃষকের ফসিল জমি। দেদারসে উত্তোলন করা হয়েছে বালু।
বেনজীরের ক্ষমতার অপব্যবহার শুধু সাধারণ মানুষের উপরই নয়।পড়েছে সরকারি সড়কেও। গ্রামের মধ্যে দিয়ে যাওয়া পাকা পিচঢালা রাস্তা অবৈধ ভাবে দখল করে রেখেছে সে। চলাচল করতে দেওয়া হয় না গ্রামবাসীকে। চলাচল করতে গেলে রিসোর্টের স্টাফ দারা মারধরের শিকার হতে গ্রামবাসী কে।
বেনজীরের সম্পত্তির জব্দের আদেশের পর থেকেই প্রতিরাতে গাড়ি ভর্তি সিন্দুক ও মুল্যবান মালামাল সরিয়ে নেওয়া হয়।তবে সব জেনেও স্থানীয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয় না।
সবুজ / আল/ দীপ্ত সংবাদ