আগামী ২ জুন থেকে শুরু হবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। বিশ্বের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আগের আটটি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই খেলেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ভবিষ্যতে আরও একটি বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখছেন সাকিব। তার আগে, আসন্ন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেরা পারফরমেন্স দিয়ে দলের জন্য অবদান রাখতে চান এই অলরাউন্ডার।
২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে সাকিব জানিয়েছিলেন, ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই হবে তার ক্যারিয়ারের শেষ আইসিসি টুর্নামেন্ট। সে হিসেবে এ বছরের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপই ছিলো তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। কিন্তু আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চান সাকিব। বিশ্বকাপের পরবর্তীতে আসরটি হবে ২০২৬ সালে। সেটিও টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে থাকা খেলোয়াড়দের নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ধারাবাহিক ভিডিও সিরিজ ‘দ্য গ্রিন রেড স্টোরি’তে সাকিব বলেন, ‘প্রথম আসর থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যতগুলো টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হলো সবগুলোতেই খেলেছি। আমার জন্য এটা গর্বের ও আনন্দের। একই সময়ে যেহেতু দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, অনেক ভালো লাগার একটা জায়গা আছে। আমি এবং রোহিত শর্মাই হয়তো মাত্র দু’জন খেলোয়াড় যারা সবগুলো টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে। আশা করব, আরও একটি বিশ্বকাপ যেন খেলতে পারি। তার আগে এই বিশ্বকাপে পারফরমেন্স যেন ভালো থাকে। বাংলাদেশ যেন অন্যান্য যে কোন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চেয়ে ভালো ফল করে আসতে পারে।’
২০০৭ সালে শুরু হবার পর টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আসরেই খেলেছেন সাকিব। তার সঙ্গে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সব আসরে খেলার রেকর্ডে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মারও। ২ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শুরু হতে যাওয়া টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নবমবারের মত খেলতে নামবেন সাকিব।
আসন্ন আসরে নিজের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমার নামের পাশে কিছু দেখতে চাই না। একটি জিনিসই চাই, বাংলাদেশের হয়ে যেন অবদান রাখতে পারি। এই বিশ্বকাপে যেন বাংলাদেশের হয়ে ভালো কিছু করতে পারি।’
ওই ভিডিওতে কাগজে লেখা বেশ কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিলো সাকিবকে। প্রশ্নগুলো নিজেই পড়ে উত্তর দিয়েছে সাকিব, ‘অনেকেই বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র সাকিবের ‘সেকেন্ড হোম’। ঘরের সুবিধা কি পাবে দল?’
প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, ‘আমার সেকেন্ড হোম ঠিক আছে। তবে হোম অ্যাডভান্টেজ পাবে কি না বলা মুশকিল। কিন্তু আমার মনে হয় পাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আমেরিকা, এ দুটো জায়গাতেই আমরা খেলেছি। এর আগে ফ্লোরিডায় যখন খেলেছি বাংলাদেশ ভালো করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা সব সময়ই সুবিধা পাই। কারণ পিচগুলো অনেকটা আমাদের মতোই হয়ে থাকে। আমি আশা করছি. দুই জায়গাতেই আমরা সুবিধা পাবো।’
আন্তর্জাতিক ও ফ্র্যাঞ্চাজি মিলিয়ে ৪৩৩টি টি–টোয়েন্টি খেলেছেন সাকিব। টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটে বদলে যাবার বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, এটা ওয়ানডেরই বর্ধিত সংস্করণ। ওভার কাটলে যেটা হতো সেটাই। অনেক রোমাঞ্চকর। দর্শকরা অনেক পছন্দ করেন। আমি একটি জিনিসই শুধু মনে করি যে ব্যাট ও বলের যেন সমান প্রতিযোগিতা এখানে থাকে। একতরফা যেন টুর্নামেন্ট না হয়। সাধারণত বিশ্বকাপে কখনওই সেটা হয় না। আমি মনে করি, এবারও একইরকম হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বিশ্বকাপ হওয়ায় বাংলাদেশ দল কেমন সমর্থন পাবে? এ ব্যাপারে সাকিব বলেন, ‘প্রচুর বাংলাদেশি দর্শক সেখানে অপেক্ষা করছে। আশা করি, তারা পূর্ণ সমর্থন দিবে আমাদের। তাদের এই সমর্থন আমাদের কাজে আসবে এবং আমরা ভালো ফল পেতে সমর্থ হব।’
এজে/ আল / দীপ্ত সংবাদ