আল্লাহ রাত ও দিনকে সৃষ্টি করেছেন। সব দিনের মধ্যে জুমাবার বা শুক্রবারকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। কোরআন ও হাদিসে এই দিনের বিশেষ সম্মান ও মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে। শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের জন্য এই দিনটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ।
জুমার দিনের সুন্নত (সুন্নাহ) এবং আদব (মর্যাদা ও আচার) সম্পর্কে ইসলামী শরিয়ত থেকে পাওয়া কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা রয়েছে। এখানে কিছু প্রধান সুন্নত ও আদব উল্লেখ করা হলো:
জুমার দিনের সুন্নত:
গোসল করা: জুমার দিন গোসল করা সুন্নত। এটি পবিত্রতার প্রতীক এবং জুমার নামাজের প্রস্তুতি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
সাফ কাপড় পরা: পরিষ্কার এবং সুন্দর পোশাক পরা। বিশেষ করে সাদা পোশাক পরা উত্তম, কারণ সাদা পোশাককে নবী মুহাম্মাদ (স.) ভালোবাসতেন।
ইত্তর বা সুগন্ধি ব্যবহার করা: সুগন্ধি বা আতর ব্যবহার করা সুন্নত।
নখ কাটা: নখ কাটা এবং শরীরের অপ্রয়োজনীয় লোম পরিস্কার করা।
মিসওয়াক করা: মিসওয়াক বা দাঁত পরিষ্কার করা।
দ্রুত মসজিদে যাওয়া: সময়ের পূর্বেই মসজিদে যাওয়া, এবং নামাজের প্রথম কাতারে বসার চেষ্টা করা।
জুমার খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা: খুতবা শোনা মনোযোগ সহকারে এবং পুরো খুতবার সময় নীরব থাকা সুন্নত।
সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করা: জুমার দিনে সুরা কাহাফ পড়া একটি প্রমাণিত সুন্নত।
কসরত দোয়া করা: এই দিনে বেশি বেশি দোয়া করা, কারণ জুমার দিনে দোয়া কবুল হয়।
কিছু বিশেষ সুন্নত নামাজ:
জুমার আগে সুন্নত নামাজ: জুমার আগে দুই বা চার রাকাত সুন্নত নামাজ পড়া সুন্নত।
জুমার পরে সুন্নত নামাজ: জুমার নামাজের পরে চার রাকাত সুন্নত নামাজ পড়া সুন্নত। তবে দুই রাকাতও প্রমাণিত।
জুমার দিনের সুন্নতগুলো পালন করা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাদের আত্মিক ও সামাজিক জীবনের উন্নতির জন্য সহায়ক। আল্লাহ্ আমাদের সকলকে এই সুন্নতগুলো মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ