রবিবার, নভেম্বর ১০, ২০২৪
রবিবার, নভেম্বর ১০, ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রিমাল: খুলনায় বাঁধ ভেঙে ৩০ গ্রাম প্লাবিত

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে খুলনার কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ তিন উপজেলার নয়টি জায়গার বাঁধ ভেঙে অন্তত ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে শতাধিক চিংড়ির ঘের, ভেঙে গেছে কয়েকশ’ কাঁচা ঘরবাড়ি ও দোকানপাট।

এছাড়া খুলনা নগরীর কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পাউবো সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে জোয়ারের তীব্র চাপে মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের সিংহেরকোণা, মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেলাল গাজীর বাড়ির সামনের বাঁধ ভেঙে গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, বাঁধের দুর্বল অংশের ওই তিনটি স্থানে প্রায় ১৫০ মিটার ভেঙে নোনা পানিতে প্লাবিত হয়েছে এলাকা। ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনার ৩০ গ্রাম প্লাবিত


এ ছাড়া বাঁধের নিচু কয়েকটি জায়গায় লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এসব জায়গায় এলাকার মানুষ রাতভর মেরামত কাজ চালিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারেনি।

মহারাজপুরের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, রবিবার রাতের জোয়ারের চাপে ইউনিয়নের দশহালিয়া এলাকায় প্রায় ৫০ মিটার বাঁধ ভেঙে কপোতাক্ষ নদের পানি ঢুকে পড়েছে। এতে অন্তত দুটি গ্রাম ও কয়েকশ’ চিংড়ির ঘের তলিয়ে গেছে।

মহেশ্বরীপুরের ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারি বলেন, ইউনিয়নের সিংহেরকোণা এলাকায় বাঁধ ভেঙে গেছে। এ ছাড়া নয়ানি এলাকার বাঁধের নিচু জায়গা ডুবে সারারাত পানি ঢুকেছে। এতে অন্তত ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া অসংখ্য চিংড়ির ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। ঝড়ের তাণ্ডব ও ভারী বৃষ্টিতে কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে শতাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী জানান, তার ইউনিয়নের মাটিয়াভাঙ্গা এলাকায় রাতের জোয়ারে বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। এতে ৫৭টি গ্রামে নদীর পানি ঢুকেছে। এছাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় নিচু বাঁধ ডুবে পানি প্রবেশ করেছে এলাকায়।

পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেত পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় মানুষ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করা হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি স্থানে বাঁধ সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার দুপুরের জোয়ারের আগে তা মেরামতের চেষ্টা চলছে।

কয়রার ইউএনও এবিএম তারিক উজ জামান বলেন, কয়েকটি স্থানে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। এ ছাড়া ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডবে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

দাকোপে শিবসা ও ঢালী নদীর বাঁধ ভেঙে তিলডাকা ইউনিয়নের আটটি গ্রামে পানি ঢুকেছে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আমিরুল আজাদ জানান, গত রাত ১০টার পর থেকে খুলনার উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানতে শুরু করে। রাত ১টার পর বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার।

খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন জানান, প্রায় এক লাখ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে।

সূত্র: ইউএনবি

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More