ডিমে রয়েছে অনেকগুলো স্বাস্থ্য উপকারিতা। ডিম খেলে কিছু রোগ ভালো হয়ে যায়। একটি ডিমে ৭৫ ক্যালরি, ৫ গ্রাম চর্বি, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৬৭ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ৭০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম এবং ২১০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল রয়েছে।
এ ছাড়া ডিমে ভিটামিন এ, ডি, এবং বি১২ এর একটি বড় উৎস। একটি ডিম সকালের নাস্তা বা রাতের খাবারের জন্য স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
১. ডিমে লুটেইন এবং জেক্সানথিন রয়েছে – অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রধান উপকারী। বার্ধক্যের একটি পরিণতি হল দৃষ্টিশক্তি খারাপ হয়ে যায়। বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের চোখকে প্রভাবিত করতে পারে এমন কিছু ক্ষয়ক্ষতি প্রক্রিয়াকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে লুটেইন এবং জেক্সানথিন থাকে। ডিমে ভিটামিন এও বেশি থাকে, অন্ধত্বের ঝুঁকি কমায়।
২. ডিমে ওমেগা–৩ থাকে। যা হৃদরোগের জন্য কমাতে সাহায্য করে। তবে চারণ করা মুরগীর ডিমে ওমেগা–৩ বেশি পাওয়া যায়।
৩. ডিম কোলিনের ভালো উৎস। কোলিন হলো এমন একটি পুষ্টি যা বেশিরভাগ লোকই জানে না যে এর অস্তিত্ব রয়েছে, তবুও এটি একটি অবিশ্বাস্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদার্থ এবং প্রায়শই বি ভিটামিনের সাথে যুক্ত। কোলিন কোষের ঝিল্লি তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় এবং অন্যান্য বিভিন্ন ফাংশনের সাথে মস্তিষ্কে সংকেত অণু তৈরিতে ভূমিকা রাখে। একটি ডিম কোলিনের চমৎকার উৎস।
৪. এটি উচ্চ কোলেস্টেরল, কিন্তু রক্তের কোলেস্টেরল বাড়ায় না। এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে খাদ্যের কোলেস্টেরল রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বা হৃদরোগের ঝুঁকির উপর প্রভাব ফেলতে পারে না। ৭০ ভাগ মানুষের মধ্যে, কোলেস্টেরল খেলে রক্তের কোলেস্টেরল বাড়তে পারে না বা শুধুমাত্র হালকাভাবে বাড়তে পারে (যাকে ‘হাইপো রেসপন্ডার’ বলা হয়)। আর বাকি ৩০ ভাগ জনসংখ্যার মধ্যে (যাকে ‘হাইপার রেসপন্ডার’ বলা হয়), ডিম বা খাদ্যতালিকাগত কোলেস্টেরলের অন্যান্য উত্স রক্তের কোলেস্টেরলের বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। যাইহোক, পারিবারিক হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া নামক জিন বহনকারিদের পরিমিত পরিমাণে ডিম খাওয়ার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।
৫. ডিমে এইচডিএল মানে উচ্চ–ঘনত্বের লাইপোপ্রোটিন থাকে। ডিম খেলে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কম থাকে। এইচডিএল বাড়ানোর জন্য ডিম খাওয়া একটি দুর্দান্ত উপায়।
সুপ্তি/ দীপ্ত সংবাদ