রাজধানী তেহরানে সদ্য প্রয়াত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ নিহতদের জানাজা সম্পন্ন। জানাজা পড়ান ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। জানাজায় উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ লাখ লাখ মানুষ অংশ নেয়। প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে ইরানে চলছে ৫ দিনের শোক।
শোকের কালো পোশাক পরিহিতদের ঢল তেহরানের রাস্তা জুড়ে। গন্তব্য একটাই ইউনিভার্সিটি অব তেহরান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির কম্পাউন্ডে তখন সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইব্রাহিম রাইসির মরদেহ। তাকে শেষ বিদায় জানাতে তেহরানের মানুষের এ যাত্রা।
একজন জানান, আমাদের নেতাকে শেষ পর্যন্ত সমর্থন করছি। শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত রক্ষা করব। তাকে শ্রদ্ধা জানাই।
আরেকজন জানান, যখন তার মৃত্যুর খবর পেয়েছি, মনে হলো বাবাকে হারিয়েছি। শুধু ইরানিরাই নয় বিশ্বও আজ শোকাহত।
এক নারী জানান, আমার বাবা হারানোর সময় একই অনুভুতি হয়েছিল। আমার খুব সুন্দর মানুষ হারিয়েছি।
বুধবার সকালে প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সঙ্গীদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। জানাজায় অংশ নেয় সর্বস্তরের মানুষ। উপস্থিত ছিলেন, ইরাকের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ শাহ আল সুদানি, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি অব জেনারেল নাইম কাশেম, হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াসহ আরও অনেক মুসলিম নেতা।
জানাজা শেষে আজাদি চত্বরের পথে একটি শোকযাত্রা হয়। এতে যোগ নেন অগণিত শোকার্ত জনতা।
এর আগে, মঙ্গলবার তাবরিজ এবং কোম শহরে নিহতদের পৃথক জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাতে মরদেহগুলো নেয়া হয় তেহরানের গ্রান্ড মোসাল্লায়। বৃহস্পতিবার নিজ শহর মাশহাদে দাফন করা হবে ইব্রাহিম রাইসিকে।
রবিবার পূর্ব আজারবাইজানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারান ইরানি প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৯ জন।