টানা তিন জয়ের পর চতুর্থ টি–টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের কাছে প্রায় হারতেই বসেছিল বাংলাদেশ। মান বাঁচালেন বোলাররা। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ ওভারে ৫ রানে জিতলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দেয়া ১৪৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং খুব একটা খারাপ হয়নি। তবে স্বাগতিক বোলাররাই বরং উপহার দিয়েছেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং। তাতে জিম্বাবুয়ে লক্ষ্যের খুব কাছে গিয়ে থেমেছে আবারও। তাসকিন–সাকিব–মুস্তাফিজদের আঁটসাঁট বোলিংয়ের সুবাদে কল্যাণে ১৩৮ রানে শেষ হয়েছে সফরকারীদের ইনিংস। চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৫ রানে।
আর আগে শুক্রবার (১০ মে) শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে নাজমুল হাসান শান্তর দল। দুই ওপেনার তামিম–সৌম্য শতরানের জুটি গড়লে ভালো সংগ্রহের পথে এগোয় টাইগাররা। কিন্তু তার পরেই ছন্দপতন। সফরকারীদের ১৪৪ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ।
শতরানের ওপেনিং জুটির পর ৪২ রানে ১০টি উইকেট হারিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ১৯.৫ ওভারে হয়েছে অলআউট। বাংলাদেশ বলেই বোধ হয় সম্ভব! একটা সময় যে দলের স্কোর মনে হচ্ছিল দুইশর কাছাকাছি চলে যেতে পারে, সেই দলটিই ২০ ওভারের আগেই অলআউট হয়ে গেলো ১৪৩ রানে।
বিনা উইকেটে শতরানের সংগ্রহে পৌঁছায় টাইগাররা। পরের ওভারেই লুক জঙ্গুয়ের বলে জোনাথন ক্যাম্পবেলের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। আউট হবার আগে তামিম করেন ৩৮ বলে ৫৩ রান। কিছুক্ষণ পর আউট হন সৌম্য সরকারও। ৩৪ বলে ৪১ রান করে জঙ্গুয়ের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
দুই ওপেনার ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু ৮ বলে মাত্র ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। সিকান্দার রাজার বলে ব্রায়ান বেনেটের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন তিনি। দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ব্যাট হাসেনি আজকের ম্যাচে। ৩ বল খেলে মাত্র ১ রান করে বেনেটের শিকারে পরিনত হন তিনি। অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত ২ রানে বোল্ড হয়ে বেনেটের দ্বিতীয় শিকারে সাজঘরের পথ ধরেন। বিনা উইকেটে শতরানে পৌঁছানো টাইগাররা ১২৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে এক পর্যায়ে ব্যাকফুটে চলে যায়।
ব্যাটারদের আসা–যাওয়ার মিছিলে শেষ পর্যন্ত ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ।
আল / দীপ্ত সংবাদ