শুরু হয়েছে ৪৬তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) প্রিলিমিনারি (এমসিকিউ) পরীক্ষা। দেশের ৮ বিভাগীয় শহরের ২১৫ কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে, যা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
পরীক্ষার্থীরা পিএসসির নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল সাড়ে ৯ টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রবেশ করেছেন। সকাল সাড়ে ৯ টার পর পরীক্ষা কেন্দ্রের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেন্দ্রের ভেতরে এবং বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৯টায় উত্তরপত্র বিতরণ শুরু হবে। এছাড়া সকাল ১০টায় বিতরণ করা হবে প্রশ্নপত্র। দুপুর ১২টার আগে কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্র থেকে বের হতে পারবেন না।
মঙ্গলবার পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, পরীক্ষা মানে পরীক্ষা, কারও কাছে দেখে শুনে বা অন্য কোনো উপায়ে পরীক্ষা দেওয়া নয়। কেউ এর ব্যত্যয় ঘটালে তার পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এদিকে, পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকার ৯৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রতিটির জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার। পিএসসি সচিবালয়ের কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত আরও ১০ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৪৬তম বিসিএসে ৩ হাজার ১৪০ শূন্যপদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এতে বিসিএস সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে ৯২০ জন।
এ ছাড়া বিসিএস প্রশাসনে ২৭৪ জনকে, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, বিসিএস পরিবার পরিকল্পনায় ৪৯, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জনকে নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন ক্যাডারে ৩ হাজার ১৪০ জন নিয়োগ দিতে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পিএসসি ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ