রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে চারশো মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বাকি ২৬০ মেগাওয়াট স্থানীয় পর্যায়ে বিতরণ করা হচ্ছে। প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ইউনিটের শতভাগ কাজ শেষ হবে আগামী জুনে।
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে উৎপাদিত ৪০০ মেগাওয়াট গোপালগঞ্জের আমিনবাজার হয়ে ঢাকার জাতীয় গ্রিডে এবং ২৬০ মেগাওয়াট খুলনা-বাগেরহাটে সরবরাহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটের ৭৯ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুনে দ্বিতীয় ইউনিটের শতভাগ কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
প্রধান টেকনিক্যাল অফিসার রবীন্দ্র কুমার বলেন, ” দ্বিতীয় ইউনিট চালু হলে স্থানীয় বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি জাতীয় বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে এটি ভূমিকা রাখবে।”
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে তিনলাখ মেট্রিকটন কয়লা আনা হয়েছে। আরো দুইলাখ টন কয়লা আমদানির অপেক্ষায় রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণ উৎপাদনে যাওয়ার চেষ্টা করছে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
প্রকল্প পরিচালক জানান,”বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করতে পারবো।”
চলতি বছরের আগস্টে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যায় রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ বিনিয়োগে রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানে ব্যায় হচ্ছে ১৬ হাজার কোটি টাকা।