প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে আর্জেন্টিনার হার ছিলো একেবারেই অপ্রত্যাশিত। কেবল বিশ্ব র্যাংকিং আর খেলোয়াড়দের সামর্থ্যের বিবেচনাতেই নয়, বরং টানা ৩৬ ম্যাচে অপরাজিত মেসিদের সামনে যে এশিয়ার কোনো দল পাত্তা পাবে, তেমনটা আশাও করেননি ঘোর আর্জেন্টিনা বিরোধীও।
অবশ্য ওই হারটাই যেনো সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছে তাদের শিরোপার লড়াইয়ে টিকে থাকতে। গ্রুপপর্বে পরের দুই ম্যাচে মেক্সিকো আর পোল্যান্ডকে রীতিমত ধরাশায়ী কোরে, গ্রুপ সেরা হয়ে নকআউট পর্বে পা রাখে মেসিবাহিনী। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া।
শেষ ষোলোতে তেমন প্রতিরোধের মুখে পড়েনি আর্জেন্টাইনরা। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে, নেদারল্যান্ডসের সাথে তাদের ম্যাচটি হয়েছে অন্য মাত্রার লড়াই। খেলোয়াড়দের পারফর্মেন্স বিবেচনায় যেমন ২-২ সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচে, ফল নির্ধারিত হয়েছে টাইব্রেকারে; তেমনি আলোচনায় ছিলো আগ্রাসী রেফারিং। বিশ্বকাপের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ হলুদ কার্ড প্রদর্শণের রেকর্ড গড়া রেফারিকে পরে প্রত্যাহারই করেছে ফিফা।
সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে একপেশে ম্যাচের নায়ক লিওনেল মেসি। গত বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে ৩-০ গোলে হারের প্রতিশোধ তারা নিয়েছে সমান ব্যবধানে জিতে।
অন্যদিকে, শুরুতে ফ্রান্সের যাত্রা ছিলো নির্বিঘ্ন। প্রথম দু’ম্যাচ জিতে পরের রাউন্ড নিশ্চিত কোরে, শেষ ম্যাচে তারা ১-০ গোলে হারে তিউনিসিয়ার কাছে। অবশ্য এরপরের চিত্র ছিলো ভিন্ন। শেষ ষোলোতে পোল্যান্ডের বিপক্ষে সহজ জয়ের পর, কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিলো, আসরের অন্যতম ফেবারিট, ইংল্যান্ড। ২-১ গোলে, সে বাধাও পেরোয় দিদিয়ের দেশ্যামের শিষ্যরা। সেই তুলনায় সেমিফাইনালে, আসরের চমক জাগানো মরক্কো রক্ষণের দেয়াল গড়েও জয় আটকাতে পারেনি এমবাপ্পে-জিরুদের।
ফাইনালে তাই জমজমাট এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় গোটা ফুটবল বিশ্ব।