আনন্দ-উৎসবে গতকাল মহান বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তি উদযাপন করলো বাংলাদেশ। প্রথম প্রহরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে সেখানে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।
কুয়াশাভেজা ভোরে পূর্ব আকাশে রক্তিম সূর্যটা যখন উঁকি দিয়েছে, ঠিক তখনি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে সমবেত হন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধানসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
ভোর সাড়ে ৬টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মূল বেদীতে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সশস্ত্র সালাম জানায় তিন বাহিনীর সদস্যরা।
পরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার। এরপরেই ফুল দিয়ে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি। দলীয় সভানেত্রীকে নিয়ে একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর, সকল শ্রেণীপেশার মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন, স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পরেও, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে সাম্প্রদায়িক শক্তি।
বিশ্ব ভূখন্ডে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বয়স ৫১ বছর। বিজয়ের এই দিনে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা, দেশে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়– নিয়ে যেতে চায় ভিন্নপথে, তাদের একত্রিতভাবে রুখতে হবে। তবেই একাত্তরের মুক্তিসেনাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যে প্রতিজ্ঞা ছিলো, তা সফলতার মুখ দেখবে।