জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন করেছে আগরতলা বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন।
রোববার (১৭ মার্চ) দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তারা।
এদিন সকাল সাড়ে ৮টা দূতালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের শাহাদতবরণকারী সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়।
সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। সকাল ৯টায় জাতির পিতার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও কর্মধারার ওপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সকাল ১০টায় আগরতলার ফায়ার ব্রিগেড চৌমুহনীর হোটেল সোনার তরী হোটেলে শুরু হয় ত্রিপুরার বিভিন্ন বয়সী শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী শিশু–কিশোরদের মাঝে গিফট প্যাক বিতরণ করা হয়।
সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে সোনার তরী হোটেলে সহকারী হাই কমিশনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে জাতির পিতা, তার পরিবারের শাহাদতবরণকারী সদস্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পরে দিবসের তাৎপর্য নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন– অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ, ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. আল আমীন, শিক্ষাবিদ ড. মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব স্বপন ভট্টাচার্য ও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য শাহিদুল হাসান খোকন প্রমুখ।
সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন সফল রাষ্ট্রনায়কের পাশাপাশি শিশুদের কাছেও ছিলেন ভীষণ প্রিয় ব্যক্তিত্ব। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমতা ছিল অপরিসীম। তিনি বিশ্বাস করতেন আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ; শিশুরাই তার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
আরিফ মোহাম্মাদ বলেন, শিশুদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার নিমিত্তে ও শিশুদের সুরক্ষায় তিনি জাতিসংঘের শিশু সনদের ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে জাতীয় শিশু আইন প্রণয়ন করেন ও শিশু বিকাশ নিশ্চিত করতে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন বঙ্গবন্ধু।
এজন্য তার জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে ১৭ মার্চকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে।