১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির মেধাবী সন্তানদের বেছে বেছে হত্যা করে, পাক হানাদার ও তাদের দোসররা।
সবুজের বুকে স্বাধীনতার লাল সূর্য্য কেবল উঁকি দিচ্ছে। ঠিক তার কয়েকদিন আগে, ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে, বেছে বেছে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। ১৪ ডিসেম্বর যাদের অনেকের গলিত-বিকৃত মরদেহ মেলে রাজধানীর রায়ের বাজার বদ্ধভূমিতে।
মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয় মাস জুড়েই পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে, পাকবাহিনীর এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী। বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী কোষগ্রন্থ’ থেকে জানা যায়, ২৩২ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে তারা। এদেরই একজন সৈয়দ নজমুল হক। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছিলেন পাকিস্তান প্রেস ইন্টারন্যাশনাল-পিপিআই এর প্রধান প্রতিবেদক। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর নজমুল হক ছিলেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলারও আসামী।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শত শত মরদেহ চোখের সামনে পড়ে থাকতে দেখেছেন রবিউল হক। নির্মম সেই দৃশ্য তিনি আজও ভোলননি। বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত রাজাকার চৌধুরী মুঈনুদ্দীন এবং আশরাফুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ২০১৩ সালে। তবে পলাতক রয়েছেন বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত আরো কয়েকজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী।