শিরোপার দৌড়ে টিকে আছে ৮টি দল। বাংলাদেশের বিভিন্ন ফুটবল ক্লাবে কোচিং স্টাফ হিসেবে কর্মরত অনেকেই এসব দেশের নাগরিক। অন্য সবার মতো তাদেরও ইচ্ছা, বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফিটা জিতুক তার দেশ।
বিশ্বকাপে ৩২ দলের লড়াই এসে ঠেকেছে ৮ দলে। শুক্রবার কোয়ার্টার ফাইনালে আলাদা ম্যাচে, মাঠে নামবে ল্যাতিনের দুই পরাশক্তি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। তাদের লড়াইটা আবার ইউরোপের দুই দল ক্রোয়েশিয়া আর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। কে জিতবে তা নিয়ে ফুটবল বিশ্বে চলছে নানা যুক্তিতর্ক। তবে ঢাকায় থাকা ভিনদেশি কোচদের কাছে ম্যাচগুলো গুরুত্ব পাচ্ছে ঐতিহ্যের লড়াই হিসেবে।
বাফুফে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি বলেন, “ল্যাতিন ফুটবল মানেই দারুণ কিছু। তবে আক্রমণাত্মক খেলে ইউরোপীয়ানরা। আমি চাই দুই ম্যাচেই ইউরোপীয়নদের জয় হোক।”
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কোচ শন লেন বলেন “মধ্যপ্রাচ্যের দেশে ইউরোপের দলগুলোর পারফমেন্স দেখে ভালো লাগছে। আমি সবসময় চাই ট্রফি ইউরোপের দেশে যাক। তবে ডাচদের বিপক্ষে কেমন করবে মেসিরা, তা দেখার আগ্রহ আমার একটু বেশি।”
চতুর্থ কোয়ার্টারে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড। হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হটিয়ে, শেষচারে জায়গা করে নেবে ইংলিশরা, এমনটাই আশা করছেন তারা। ফ্রান্সের চেয়ে ইংল্যান্ড অনেক ভারসাম্যপূর্ণ দল। ডেম্বেলে, হ্যারি কেইন-সাকার অভিজ্ঞতাই, তাদের এমবাপ্পেদের চেয়ে এগিয়ে রাখবে।
আবাহনী কোচ জানান “মরক্কো দারুণ খেলছে। তাদের নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই। অন্তত সেমির আগে যেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বিদায় না হয়, সেটিই কামনা করি।”
শেষ আটে যদি মরক্কো পর্তুগালকে হারাতে পারে, তবে এটিই এবারের আসরের সবচেয়ে বড় আপসেট হবে বলে মনে করেন এই পর্তুগিজ।