বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়। পুলিশসহ আহত হয় বেশকয়েকজন। এসময় আটক করা হয় বিএনপি নেতা রিজভী-আমান-এ্যানি ও শিমুল বিশ্বাসসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে।
বুধবার বিকেল ৩টা। রাজধানীর নয়াপল্টন। বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশ। মুহুর্মুহু গুলি ও টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। টানা এক ঘণ্টা পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। এরইমধ্যে আহত হন অনেকে।
সংঘর্ষের কথা শুনে ছুটে আসেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘটনার জন্য পুলিশ ও সরকারকে দায়ী করে, রাস্তায় বসে প্রতিবাদ জানান তিনি। বিকেলে নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে।
এদিকে, নয়াপল্টন থেকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
সন্ধ্যায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। ১০ ডিসেম্বর নয়া পল্টনে বিভাগীয় গণসমাবেশ করতে চায় বিএনপি। কিন্তু পুলিশ বলছে- রাস্তায় জনসভার অনুমতি দেওয়া হবে না। দলটিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।