বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

আ.লীগ আগামী ৫ বছরে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

দীপ্ত নিউজ ডেস্ক
12 minutes read

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা সংসদে বলেছেন তাঁর সরকার আগামী পাঁচ বছরে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা, সুদূরপ্রসারী কার্যক্রম ও গঠনমূলক পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ বিগত ১৫ বছরে সর্বক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছে। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা আগামী ৫ বছরেও অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।’

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা আজ তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে সিরাজগঞ্জ৬ আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী তার দলকে আগামী পাঁচ বছর রাষ্ট্র পরিচালনার আরেকটি সুযোগ দেওয়ার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের ২০ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে আমরা তা টেকসই করতে চাই। জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারকে ভোটের মাধ্যমে ম্যান্ডেট দিয়ে উন্নয়নের সুযোগ দিয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্যে ২০৪১ সাল নাগাদ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যার উদ্দেশ্য হলো স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ। এই চার স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে টেকসই ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রসারের মাধ্যমে অন্তর্ভূক্তিমুলক উন্নয়ন নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত, সমৃদ্ধশালী ও দারিদ্রশুন্য রাষ্ট্রে পরিণত করা।

সরকার প্রধান বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি ‘স্মার্ট উন্নত দেশ’, যেখানে বর্তমান মূল্যে মাথাপিছু আয় হবে ১২ হাজার ৫শ’ মার্কিন ডলারেরও বেশি এবং যা হবে ডিজিটাল বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্সের ১ম সভা গত ৩ আগস্ট ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৪টি স্তম্ভভিত্তিক দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয় এবং এ কার্যক্রম আরো সুচারু রুপে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন খাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রাণালয়/ বিভাগ এবং মন্ত্রীগণকে আহবায়ক করে ১৫টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে এবং বর্তমানে জিইডি কতৃর্ক নবম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২৬২০৩০) প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরুর আগে শেখ হাসিনা বলেন, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের জন্য অনেক বাধা ও ষড়যন্ত্র ছিল।

আমি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে এদেশের ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়েছে। তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। নির্বাচনে আমাদেরকে জয়ী করে দেশ সেবার সুযোগ দিয়েছে। তাই নির্বাচনের যারা আয়োজক ছিল যেমন নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা সংস্থা, সশস্ত্র বাহিনী, জনপ্রশাসন, বাংলাদেশের জনগণ, সকলকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য।

তিনি বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমি যে এলাকা হতে নির্বাচিত হয়েছি, গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়াটুঙ্গিপাড়ার জনগণের প্রতি। নির্বাচনে আমার খুব খাটতে হয়নি। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী ও স্থানীয় জনগণ সকলেই মিলে নির্বাচনে আমাকে ভোট দিয়ে, নির্বাচনী বৈতরণী পার করেছে।

আল/ দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More