বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে বাংলাদেশিসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজন রোহিঙ্গা ও একজন বাংলাদেশি।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে তিনটার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান নিশ্চিত করেছেন।
নিহত বাংলাদেশির নাম হোসনে আরা (৫৫)। তিনি জলপাইতলী গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী। অপরদিকে, নিহত রোহিঙ্গার নাম নবী হোসেন(৫৫)। বালুখালী আশ্রয়শিবিরের ৮–ই ব্লকের বাসিন্দা নবী হোসেন ধানখেতে কাজ করতে বাদশা মিয়ার বাড়িতে এসেছিলেন।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, নিহত রোহিঙ্গা ব্যক্তি বাদশা মিয়ার বাড়ি কাজ করতেন। তাকে দুপুরের খাবার দেয়ার জন্য রান্নাঘরে গিয়েছিলেন হোসনে আরা। তখনই মর্টারশেলটি এসে রান্নাঘরের ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই রোহিঙ্গা ব্যক্তিটির মৃত্যু হয়। তবে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান হোসনে আরা।
আরও পড়ুন: প্রাণভয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিল বিজিপির ৯৫ সদস্য
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান বলেন, দুপক্ষের গোলাগুলির সময় মর্টার শেল এসে বিস্ফোরিত হয়েছে। তখন ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হয়েছেন। তবে হেলিকপ্টার থেকে বোমা মারার সময় গোলাটি এসে পড়েনি বলে মন্তব্য করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৯৫ সদস্য অস্ত্রসহ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদেরকে নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ