ভূ–রাজনীতিতে সুযোগ নিতে মুখিয়ে আছে অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীন। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকে পাশে পেতে ঋণ সুবিধাসহ নানা উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা করে আসছে তারা। রিজার্ভের চাপ কমাতে এবং ঋণ সহায়তা দিতে, নিজস্ব মুদ্রা ইয়ানে লেনদেন করতে আগ্রহী বেইজিং।
বাংলাদেশও এখন চীনের কাছ থেকে ঋণ নিতে বেশি আগ্রহী।
বাংলাদেশ প্রতিবছর মোট যে ঋণ পায়, তার প্রায় ১০ শতাংশ দেয় চীন। বাংলাদেশকে ঋণ দেয় এমন ৩২টি দেশ ও সংস্থার মধ্যে চীনের অবস্থান চতুর্থ। ২০২২–২৩ অর্থবছরে চীনা ঋণছাড়ের পরিমাণ ছিল ১১২ কোটি ৬৮ লাখ ডলার।
চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি বিশাল। তাই চীনা মুদ্রায় বাণিজ্যিক লেনদেন কতটা কার্যকরী হবে সে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, সরকারকে নিজেদের স্বার্থ বিষয়ে সতর্ক থেকেই গ্রহণ করতে হবে চীনের বিনিয়োগ।
চীনা ঋণ পরিশোধের সময়সীমা অন্যান্য আর্থিক সংস্থার তুলনায় কম। ফলে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বেশ চাপ আসার আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে আগের অর্থবছরের চেয়ে চীন থেকে প্রতিশ্রুত ঋণের মাত্র এক–তৃতীয়াংশ পেয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের নামে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে ‘ওয়েলএক্স পে’
এসএ/দীপ্ত নিউজ