বাংলাদেশের মত উর্বর ভুমির দেশে মানব সম্পদ উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তার জন্য কৃষি কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার শুধু সরকারের নয় বরং আমাদেরও কর্তব্য বলে মনে হয় বিধায় Grow Up এর মাধ্যমে আমাদের এই অগ্রযাত্রা।
বাংলাদেশের জি.ডি.পি তে ১৯.১০ শতাংশ আসে কৃষি থেকে কিন্তু Grow Up কতৃপক্ষ মনে করে যে, এটা ৩০ শতাংশে উন্নয়ন সম্ভব।
স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক পত্রিকার (২৯ অক্টোবার ২০২৩) তথ্য মতে গত অর্থবছরে বিভিন্ন ব্যাংকগুলো কৃষি খাতে ঋণ দিয়েছে ৩২ হাজার ৮২৯ কোটি টাকা এবং এর বিপরীতে আদায় করেছে ৩৩ হাজার ১০ কোটি টাকা। এরপরেও কিছু ব্যাংক কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অক্ষমতা প্রকাশ করে।
এমন কি করোনার মধ্যেও কৃষি ক্ষেত্রে ঋণ বিতরণের চেয়ে আদায় বেশী হয়েছে।
দেশের কৃষকদের দেওয়া ঋণ সুবিধার বড় অংশই বিতরণ হচ্ছে এনজিওর মাধ্যমে। প্রান্তিক কৃষকদের কাছে ঋণ পৌঁছার সক্ষমতাই দেশের বেশির ভাগ ব্যাংক তৈরি করতে পারেনি। এ কারণে ঋণের ৫০-৮০ শতাংশ কৃষক এনজিওর উপর নির্ভরশীল।
অন্য একটি স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক পত্রিকার (Feb,2023 ) তথ্য মতে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে চলতি অর্থবছরে কৃষকদের জন্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে বলে বরাদ্দ রেখেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এই বরাদ্দ গত অর্থবছরের চেয়ে ১৩.৬০ শতাংশ বেশি।
গত অর্থবছর কৃষিঋণের লক্ষ্য ছিল ৩০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা।
কিন্তু প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকদের এখনো ব্যাংক ঋণ নেওয়ার মত দালিলিক জ্ঞান বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যোগার করবার সক্ষমতা তৈরি হয় নি।
এমতাবস্তায় কৃষকদের বহুমুখী প্রতিবন্ধকতা বিবেচনায় রেখে Grow Up সহজভাবে প্রান্তিক কৃষক কে সাথে নিয়ে কাজ করে আসছে।
গ্রো-আপ মূলত বাংলাদেশের স্বনামধন্য সংস্থা রোসা (ROSA) এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান
বাংলাদেশে ৩২ বছর যাবৎ মাইক্রোক্রেডিট সহ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসন, কৃষি ও সমাজসেবামূলক নানান প্রকল্পের মাধ্যমে দেশ ও মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে জাতীয় পর্যায়ের এনজিও সংস্থা হিসেবে।
রোসা এর সহযোগি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রো-আপ মূলত কৃষি, কৃষক এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করছে। যেখানে কৃষককে আমরা বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগকৃত অর্থের দ্বারা ক্রয় কৃত কৃষি পণ্য পৌঁছে দেয়,
এবং নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে পরিণত কৃষিপণ্যগুলো বিক্রি করে বিনিয়োগকারী এবং কৃষকের মাঝে সম্পূর্ণ ইসলামী শরিয়া মোতাবেক মুনাফা বন্টন করে দেই। (গ্রো-আপ মূলত ৫%সার্ভিস চার্জ গ্রহণ করে থাকে)
Grow up এর মাধ্যমে একজন কৃষক পেয়ে থাকে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক ঋণ,শস্য, খাদ্য,প্রশিক্ষণ, ঔষধ, যন্ত্রপাতি ও ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রির নিশ্চয়তা।
দিনশেষে কৃষক ও আর্থিক স্বাবলম্বী হয়ে নিশ্চিত ভবিষ্যৎ তৈরি করতে সক্ষম হয়।
Grow up এর মাধ্যমে একজন বিনিয়োগকারী সম্পূর্ণ হালাল উপায়ে ইসলামিক শরিয়া মোতাবেক সুদমুক্ত, মুদারাবা ও মুবারাহ পদ্ধতিতে স্মার্ট উপার্জনের নিশ্চয়তা।
পক্ষান্তরে দেশের কৃষক ও কৃষিতে অসামান্য ভূমিকা ও অবদান রাখায় গর্বিত সুনাগরিক হিসেবে সামাজিক, ইসলামিক ও আত্মমর্যাদা সম্পন্ন জীবনমান।
শেয়ারবাজার, রিয়েলস্টেট কে পিছনে ফেলে কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ-ও যে আপনাকে নিশ্চিত শরিয়াহ্ ভিত্তিক হালাল মুনাফা দিতে পারে, সেই ধারনা কে বাস্তবায়ন করে আসছে Grow Up.
এটি একটি অনলাইন ভিত্তিক সিস্টেম যার মাধ্যমে কৃষি ও পল্লী ঋণে বিনিয়োগ এর জন্যে আবেদন গ্রহণ থেকে শুরু করে পুরো ব্যবস্থাপনা কোন রকম ভুল ও দ্বৈততা ছাড়া সম্পন্ন করা যাবে।
Grow Up ডিজিটাল ফাইন্যান্সিং এর মাধ্যমে কৃষকদের অর্থনৈতিক সাহায্য করবে এবং অভিজ্ঞ কৃষিবিদ এর মাধ্যমে আধুনিক কৃষিশিক্ষা, সঠিক সার, বীজ ও কীটনাশক সরবরাহের পাশাপাশি বাজারজাত করনেও সম্পৃক্ত । তাই কৃষকদের সর্বোচ্চ কর্মদক্ষতা ব্যাবহারের মাধ্যমে আপনার বিনিয়োগের হালাল মুনাফা পেতে Grow Up এর চলমান প্রকল্পে যোগ দিতে আপনিও পারবেন এবং কৃষকের হাসি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ুন।
শরিয়াহ্ ভিত্তিক মুরাবাহা চুক্তি অনুযায়ী Grow Up তার চলমান প্রকল্পের মুনাফার একটি নির্দিষ্ট অংশ আপনার সাথে শেয়ার করবে। ব্যাবসায়িক ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে বীমা সুবিধা ও রাখা হয়েছে কিছু প্রকল্পে।
কৃষক কে কৃষি ঋণ নয়, বরং কৃষি হোক আপনার কষ্ট অর্জিত অর্থের নিরাপদ বিনিয়োগ ক্ষেত্র।
ইতমধ্যে সারাদেশে ১৭০০ এর বেশী কৃষক Grow Up এর সাথে যুক্ত। প্রকল্পগুলি ৭টি জেলায় ১৩ টি জোন জুড়ে বিস্তৃত। তাই Grow Up এর সাথে নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ হোক কৃষিতে।