ঠাকুরগাঁওয়ে গতবছর ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এবছর সরিষার আবাদ বেড়েছে। তবে আবাদ বাড়লেও এবছর ফলন নিয়ে হতাশা রয়েছে কৃষকদের মাঝে। কৃষি বিভাগ বলছে, জানুয়ারি মাসের অতিরিক্ত কুয়াশা ও শীতের করনে সরিষার ফলনে প্রভাব পরেছে।
জেলায় প্রায় প্রতিটি মাঠ ঘাটসহ আনাচেকানাচে দেখা মিলছে সবুজ সরিষা গাছের ডগায় ডগায় হলুদ ফুলের মনোমুগদ্ধকর ও নয়নাভীরাম দৃশ্য। ফুলের ঘ্রাণ ও হলুদ রঙের সমারোহ মনকারছে যেকারও। তবে এবার মাঠে ঘাটে সরিষার আবাদ বেশ শোভা পেলেও ফলন নিয়ে চমর হতাশায় পড়েছেন বেশিরভাগ চাষি।
২০২২–২৩ অর্থবছরে জেলায় সরিষার আবাদ হয়েছিল ১৫ হাজর ৯২৩ হেক্টর জমিতে। ওই বছর ফলন ও বাজার মূল্য ভালো পাওয়ায় এবার কৃষকরা বেশি করে চাষ করেন সরিষার। এ বছর ঠাকুরগাঁওয়ে ১৯ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। যা গতবছরের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর বেশি। কিন্তু এবার সরিষা গাছের গ্রোথ ও ফুল ভালো আসলেও জেলায় অতিরিক্ত ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার জন্য গাছে ফল কম ধরায় ফলন নিয়ে হতাশ কৃষকরা।
সরিষা চাষি রমযান কাদিরা বলেন, জেলায় ফেব্রুয়ারি মাসে ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডার প্রকোপ কিছুটা কমলেও জানুয়ারি মাসে সরিষা গাছে ফুল আসার সময় অতিরিক্ত ঠান্ডা ও কুয়াশা থাকার কারণে গাছে ফল ধরেছে কম। শীতের জন্য নানা ঔষুধ ব্যবহার করেও মেলেনি প্রতিকার। এবার সরিষার ফলনে আবাদের খরচটুকুও উঠে আসবে কিনা তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ–পরিচালক মো. আলমগীর কবির বলেন, শীতের কারনে এবার ফলনে কিছুটা প্রভাব পরেছে। এবিষয়ে কৃষকদের সার্বক্ষণিক নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য ভোজ্য তেলের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা সরিষা আবাদ করে নিজেদের উৎপাদিত তেল তৈরিতে ঝুঁকছেন এবং সরিষার অপজাত খৈল ও গাছ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়। তাই জেলায় দিন দিন সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।
এছাড়াও সরিষা চাষ আরও বৃদ্ধি করতে স্বল্প মেয়াদি আমন ধানের জাত চাষে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করছেন বলে জানান কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অসময়ের বৃষ্টিতে রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা
হিমেল / আল / দীপ্ত সংবাদ