চাল নিয়ে শুরু হওয়া চালবাজিতে নাজেহাল ক্রেতারা। ভাবনা এক, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। আমন কাটার সঙ্গে সঙ্গে ধান–চালের দাম কমার আশা করেছিলেন ভোক্তারা। কিন্তু হলো বিপরীত।
এবার অজুহাত হিসেবে ঠান্ডা আবহাওয়াকে দায়ী করছেন মিল মালিকরা।
রাজশাহী মহানগরীতে গত ১৫–২০ দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে চালের দাম মান ভেদে কেজিতে ২–৩ টাকা বেড়েছে। আর পাইকারিতে প্রতি বস্তা চালের দাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
মহানগরীর কাদিরগঞ্জ, সাহেববাজার কুমারপাড়া চালের পাইকারি আড়তগুলোতে দেখা যায় স্বর্ণা চাল ৫০ কেজির বস্তা বেড়েছে আড়াইশ টাকা, আঠাশ বস্তা প্রতি ৩০০ টাকা ও মিনিকেট ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একইভাবে বেড়েছে চিকন ও সুগন্ধি চালের দামও।
আরও পড়ুন: বাজারে আবারও চাল নিয়ে চালবাজি
এবার দাম বাড়ার কারণ হিসেবে চলমান শীতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মিল মালিকরা। জানান, প্রচন্ড শীতে চাতাল মালিকরা ঠিকমতো ধান শুকাতে ও সিদ্ধ করতে পারছেন না। যার ফলে মিলে ধান ভাঙানো যাচ্ছে না। এটিই মূলত চালের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ।
এভাবে চালের দাম বাড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
একই অবস্থা বরিশালের বাজারে। সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। জেলায় ২৮ বালাম চাল প্রতি কেজি খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হয় ৬০ টাকা, মিনিকেট ৬৮ টাকা এবং মোটা চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৫৫ টাকা কেজি দরে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ করে বৃদ্ধি চালের দাম
এসএ/দীপ্ত নিউজ