১২ মাসে ১৩ পার্বণের দেশ বাংলাদেশে এখন চলছে শীতকাল। শীতে পৌষ মাসের শেষ দিনটিকে ঘিরে রয়েছে একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের কাছে যা সাকরাইন উৎসব নামে পরিচিত থাকলেও, কেউ কেউ এটিকে পৌষ সংক্রান্তিও বলে থাকেন।
প্রতিবছর পুরান ঢাকায় ১৪ জানুয়ারি পালিত হয় সাকরাইন উৎসব। এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবের মূল আকর্ষণ ঘুড়ি ওড়ানো। তাই পুরান ঢাকার অলিগলিতে ঘুড়ি বেচাকেনায় ধুম পড়েছে। বাজারে বিভিন্ন নামের ঘুড়ি পাওয়া যাচ্ছে।
সেগুলোর মধ্যে অন্যতম– চোখদার, চশমাদার, কাউটাদার, লাভবার্ড, পঙ্খিরাজ, প্রজাপতি, চক্ষুদার, ঈগল, সাদাঘুড়ি, চার বোয়া, দুই বোয়া, টেক্কা, লাভঘুড়ি, তিন টেক্কা, মালাদার, দাবা ঘুড়ি, বাদুড়, চিল, অ্যাংগ্রি বার্ডস হরেক রঙের ঘুড়ি।
এসব নাটাই মিলবে ৫০০ থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে। সেসব সুতার মধ্যে রক সুতা, ডাবল ড্রাগন, কিংকোবরা, ক্লাক ডেবিল, ব্লাক গান, ডাবল গান, সম্রাট, ডাবল ব্লেট, মানজা, বর্ধমান, লালগান ও টাইগার অন্যতম।
সাকরাইনে ভোরে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পুরান ঢাকার বাড়িগুলোর ছাদ থেকে শুরু হয় ঘুড়ি ওড়ানো। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ ছেয়ে যায় নানা রঙের ঘুড়িতে। অধিকাংশ সময়ে ঘুড়ি কাটাকাটি প্রতিযোগিতা চলে। একজন অপরজনের ঘুড়ি কাটার প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন।
প্রতি বছরের মতো এবারও সাকরাইন দিবস পালন উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী ঢাকাবাসী সংগঠনের উদ্যোগে ঘুড়ি ওড়ানাের আয়ােজন করা হয়েছে। রবিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় বকশি বাজারে উৎসবের মূল আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রুনাই দারুস সালামের হাইকমিশনার হাজী হারিস বিন ওথমান।
এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান, পিবিআইয়ের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার, ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এমরানুল হক।
এসএ/দীপ্ত নিউজ