দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের ৪টি সংসদীয় আসনে এবার প্রতিদ্বন্দিতা করেন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ২৬জন প্রার্থী। তার মধ্যে একটিতে স্বতন্ত্র বাকি তিনটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জয়লাভ করেন। ঝিনাইদহ জেলা রির্টার্নিং কর্মকর্তা এস এম রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ফলাফল শীট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে জেলার ৪টি সংসদীয় আসনের ২৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জনই তাদের জামানত হারিয়েছেন।
ঝিনাইদহের ৪টি আসনে জামানত হারালেন যারা–
ঝিনাইদ–১ এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩০৬৩৩৬জন। তার মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ১৭৫৮৭৮ জন। বাতিল হয়েছে ২৬১৫টি ভোট। ঝিনাইদহ–১ থেকে এবার নির্বাচন করেন ৬জন প্রার্থী। এই আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই ৯৪৩৭৯ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল তিনি পেয়েছেন ৮০৫৮৭ ভোট। এছাড়াও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের লাঙ্গল মনিকা আলম পেয়েছেন ৩৯৪ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের মোঃ আনিচুর রহমান পেয়েছেন ২৩৮ ভোট, তৃনমূল বিএনপির সানালী আশঁ প্রতীকের জাহাঙ্গীর মজমাদার পেয়েছেন ১৬১ ভোট, ফুলকপি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনিয়া আফরিন পেয়েছেন ১৫৯ ভোট।
ঝিনাইদহ–২ আসনে মোট ভোটের সংখ্যা ৪৭৬৩০০ জন, তার মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ২৫৬৬৭৭ জন। বাতিল হয়েছে ৭০১৪টি ভোট। ঝিনাইদহ–২ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করেন ১১ জন প্রার্থী। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহারিয়ার জাহেদী ১৩৬৭৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব ছিলেন নৌকা প্রতীকের তাহজীব আলম সিদ্দিকী তিনি পেয়েছেন ১১৬২০৭ ভোট। এছাড়াও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) কুঁড়েঘর প্রতীকের খোন্দকার হাফিজুর রহমান পেয়েছেন ২৪২ ভোট,বাংলাদেশ কল্যান পার্টির হাতঘড়ি প্রতীকের মোঃ আব্দুল হান্নান খাঁ পেয়েছেন ২৯৬ ভোট, তৃনমূল বিএনপির সোনালী আশঁ প্রতীকের মোঃ জামরুল ইসলাম পেয়েছেন ২৫৬ ভোট,বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির একতারা প্রতীকের মোঃ নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ১২৪ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের মোঃ নাসির উদ্দিন পেয়েছেন ৬৮ভোট, জাসদের মশাল প্রতীকের প্রার্থী ফজলুল কবির পেয়েছেন ৫২৬ ভোট,জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মোঃ মাহফুজুর রহমান ৭৯৮ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের মিজানুর রহমান পেয়েছেন ৫৯৪ ভোট,বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ছড়ি প্রতীকের শরীফ মোহাম্মদ বদরুল হায়দার পেয়েছেন ১৭৬ ভোট।
ঝিনাইদহ–৩ আসেন মোট ভোটারের সংখ্যা ৪০৩২২৪ জন। তার মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ১৫০৬৬৯ জন। বাতিল হয়েছে ৫৮৯০টি। ঝিনাইদহ–৩ আসন থেকে প্রার্থী ছিলেন ৪জন। এই আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেজর অব. সালাহ উদ্দীন মিয়াজী ৮৩০১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের শফিকুল আজম খান চঞ্চল তিনি পেয়েছেন ৬৪৯০৯ ভোট। এছাড়াও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মোঃ আব্দুর রহমান পেয়েনে ২১৫১ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকে নবী নেওয়াজ পেয়েছেন ৫৯৪ ভোট।
ঝিনাইদহ–৪ আসনে মোট ভোটের সংখ্যা ৩১৫৬২০ জন। তার মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ১৫৫৪৩০ জন। বাতল হয়েছে,৬১৮৯টি। ঝিনাইদহ–৪ থেকে প্রতিদ্বন্দিতা করেন ৫ জন প্রার্থী। নৌকা প্রতীকের আনোয়ারুল আজীম আনার ৯৫৯০৭ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। তার নিকটমত প্রতিদ্বন্দি ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের আব্দুর রশিদ খোকন তিনি পেয়েছেন ৫৭১৯৪ ভোট। এড়াছাও জাতীয় পার্টির এমদাদুল হক লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১৩০৬ ভোট, তৃনমূল বিএনপির সোনালী আশঁ প্রতীকে নূরউদ্দিন আহাম্মেদ পেয়েছেন ৬১৪ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের নজরুল ইসলাম ছানা পেয়ছেন ৪০৯ ভোট।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুয়ায়ী কোন প্রার্থী জামানত রক্ষা করতে হলে মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগ থেকে অন্তত একটি ভোট বেশি পেতে হবে। কিন্তু এসব প্রার্থীরা বৈধ্য ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পাওয়ায় তারা জামানত হারাচ্ছেন।
শাহরিয়ার/ আল / দীপ্ত সংবাদ