গাজীপুরের টঙ্গীতে ৭ বছরের শিশু জান্নাতকে ধর্ষণের পর হত্যা ও পিতার সহায়তায় লাশ গুম করার ঘটনায় পিতা পুত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে জিএমপি পুর্ব থানায় প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপ–কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম।
পুলিশ জানায়, জান্নাত তার মায়ের সাথে টঙ্গীর শিলমুন এলাকায় খালার বাসায় ২০ দিন আগে বেড়াতে আসে। গত ১৭ ডিসেম্বর তার খালাত ভাই আব্দুল জলিল ইসলাম জনি (১৫) চিপস কিনে দিয়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। জান্নাত বিষয়টি অন্যদের কাছে বলে দেয়ার কথা জানালে জলিল ক্ষিপ্ত হয়ে একপর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার বিষয়টি জলিল তার বাবা মো: ফরজুলকে জানালে তিনি ঘটনাটি গোপন রাখার পরামর্শ দিয়ে লাশটি বালু চাপা দেয়।
পুলিশ আরও জানায়, জান্নাত নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় টঙ্গী পুর্ব থানায় ১৮ ডিসেম্বর সাধারণ ডাইয়েরী করে তার পরিবার। পুলিশ এ ঘটনায় জলিল ও ফরজুলকে বুধবার নিবির জিজ্ঞাবাদ করলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্ধী দেয়। পরে তাদের তথ্য মতে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পিতা ফরজুল ও ছেলে আব্দুলকে আসামী করে জিএমপি টঙ্গীপুর্ব থানায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
জিএমপি উপ–কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান জানান, গ্রেপ্তার ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ