আগামী বছর তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়, খেলাপি ঋণ কমানোসহ চার বিষয়ে বড় সংস্কার বাস্তবায়নের শর্ত দিয়েছে আইএমএফ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অর্থনীতির এমন নাজুক পরিস্থিতিতে আগামী জুনের মধ্যে বড় শর্ত বাস্তবায়ন বেশ চ্যালেঞ্জিং। ফলে তৃতীয় কিস্তি পার পাওয়া কঠিন হবে।
বেশ কিছুদিন ধরে রিজার্ভের নেতিবাচক ধারা উদ্বিগ্নের কারণ হয়ে উঠেছে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের জন্য অনুমোদিত ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার অর্থ ছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল–আইএমএফ।
দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় রিজার্ভকে খানিকটা স্বস্তির অবস্থানে নিবে।
তবে ২০২৪ সালে তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের আগে বেশ কিছু বড় সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের শর্ত দিয়েছে আইএমএফ। আগামী জুন মাসের মধ্যে রাজস্বে করছাড় কমানো, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ভর্তুকির যৌক্তিতা, জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় ও খেলাপি ঋণ কমাতে– চারটি খাতে আনতে হবে সংস্কার।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন অর্থনীতির এমন নাজুক পরিস্থিতিতে আইএমএফের শর্ত বাস্তবায়ন সহজ হবে না। অন্যদিকে শর্ত বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে তৃতীয় কিস্তুির অর্থ ছাড়ে সংশয় তৈরি হতে পারে।
তাই অথর্নীতিবিদের মতে, খেলাপি ঋণ কমাতে নির্বাচনের পর রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা দেখাতে হবে সরকারকে।
এসএ/দীপ্ত নিউজ