বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চাওয়া অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন, আওয়ামী লীগেরও চাওয়া একই, দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যকে প্রতারণা এবং ভণ্ডামি ছাড়া কিছুই নয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে মন্তব্য করেছে তাদের কথার সঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একমত। তারা (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) শুধু আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে নির্বাচনের কথা না সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের কথা বলেছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছে। তাহলে একমত হলেন কিভাবে? আপনারা তো কোনো প্রতিদ্বন্দ্বি না পেয়ে একজন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আর একজন নৌকার প্রার্থী দিয়েছেন।
রাজভী বলেন, এদের মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এমন একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এটা হচ্ছে মনোভাব। বড় বড় রাজনৈতিক দলের দরকার নেই প্রতিদ্বন্দ্বি হবে আওয়ামী লীগ এবং নৌকার এবং এটা হবে সুষ্ঠু নির্বাচন এই জন্য সবাইকে নমিনেশন জমা দিতে বলেছে তারা। এটাকে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিমত এবং তাদের একমত মনে করছে। এটা যে কতটুকু প্রতারণা এবং ভণ্ডামি সেটা দেশের মানুষ হারে হারে টের পাচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, এই সরকার তার কর্তৃত্ববাদী শাসন এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে সরকারের বিরুদ্ধে টু শব্দ করলেও তার মহাবিপদ আছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কড়া সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেছে শিষ্টাচার মেনে চলতে আপনি (কাদের) সব শিষ্টাচার ধ্বংস করে শিষ্টাচারের কথা বলছেন এটা কি আপনার মুখে মানায়? আপনারা দেশের জনগণ ও বিরোধী দলের সঙ্গে যে শিষ্টাচার করছেন এগুলো কি আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টির বাইরে? তারা তো শুধু অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছে এই বলাটাই শিষ্টাচারের বহির্ভূত বলে মনে করছে ওবায়দুল কাদের।
রিজভীর মতে, আ.লীগ যে অত্যাচার নির্যাতন জুলুম করছেন এগুলো কি আন্তর্জাতিক বা বিভিন্ন দেশের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত, সংগঠন আছে যারা তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করে তারা কি জানে না? তারা এসব তথ্য সংগ্রহ করেই তারপরে তারা একটা মতামত দেয়। আর এই মতামত যদি সরকারবিরোধী হয় তাহলে তারা (সরকার) রাগান্বিত হয়।
আরও পড়ুন: সমঝোতা হলে কিছু আসন ছেড়ে দিবে আ.লীগ
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ